স্কুলে দেরিতে আসার শাস্তি ১০০ বার ওঠবোস, পরিণামে কী হল? ঘটনায় চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 12/04/2022   শেষ আপডেট: 12/04/2022 9:26 a.m.

শিক্ষকের ভূমিকায় উঠেছে প্রশ্ন, শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত

অপরাধ তাঁদের অল্প একটু দেরিতে স্কুলে আসা। যোগ দিতে পারেনি স্কুলের প্রার্থনায়। শাস্তি হিসেবে জুটেছে ১০০ বার ওঠবোস। পরিণাম যে এমন অপেক্ষা করছে কে তা জানত!

ঘটনাটি ওড়িশার (Odisha) একটি সরকারি স্কুলের। ওড়িশার বোলানগীর জেলার পাটনাগড় এলাকার একটি সরকারি স্কুল বাপুজী হাই স্কুল। এই স্কুলের ৭ জন ছাত্রী দেরিতে স্কুলে পৌঁছায়। সময়মতো স্কুলে পৌঁছাতে না পারায় জোটে শাস্তি। সেই স্কুলের একজন শিক্ষক বিকাশ ধারুয়া ছাত্রীদের ১০০ বার ওঠবোসের শাস্তি দেন। অভিযোগ, পড়ুয়াদের স্কুলে দেরিতে আসার কোন কারণ শুনতে চাননি সেই শিক্ষক। শাস্তি দেন ১০০ বার ওঠবোস। আর তারপরেই ঘটে যায় সেই মর্মান্তিক পরিণতি। ওঠবোস করতে করতে তাঁদের সকলেই অচেতন হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। তাঁদের কয়েকজন বেশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সূত্রের খবর, শিক্ষকের শাস্তি পেয়ে সাত জন ছাত্রীই অচেতন হয়ে পড়ে। পাটনাগড় মহকুমা মেডিক্যাল অফিসার পিতাবাস শা বলেছেন, যখন ছাত্রীদের হাসপাতালে আনা হয়, তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি সুবিধের ছিল না। যদিও বেশ কয়েক ঘন্টা হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাঁরা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

স্কুল পড়ুয়াদের শাস্তি বর্তমানে দণ্ডনীয় অপরাধ। একজন শিক্ষকের এহেন কাজে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। স্কুলে দেরিতে আসার উপযুক্ত কারণ থাকতে পারে, তার অর্থ এই নয় এমন কঠোর শাস্তি। সেই ছাত্রীরা যেকোন বড়সড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারত।