ভ্যাকসিনের জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে না ৬০ শতাংশ গ্রামের মানুষ, জানাল সার্ভে
ইতিমধ্যেই ভারত বায়োটেক কেন্দ্রকে ১৫০ টাকা প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন দিতে অস্বীকার করেছে
করোনা (Corona) সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শুরু থেকেই গোটা ভারতবাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে মারণ ভাইরাসের থেকে একমাত্র নিস্তার পাওয়ার উপায় টিকাকরন প্রক্রিয়া। সেই কারণে বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে চলছে করোনা টিকাকরণ। কো উইন (Co-win) অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্টার করে নির্দিষ্ট দিনে নিকটবতী স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিতে হচ্ছে। তবে এরমাঝেই একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে একটি সার্ভের মাধ্যমে। জানা গিয়েছে, ৬৩ শতাংশ গ্রামের মানুষ এবং ৪০ শতাংশ ছোট শহরের মানুষ জানেন না কি করে অনলাইন পদ্ধতিতে কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্টার করে টিকা নিতে হবে। আসলে এখন সবাই ভ্যাকসিন নিতে চাইলেও অনেকেই অ্যাপে রেজিস্টার না করতে পারার জন্য টিকা নিতে পারছে না। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে সর্বোচ্চ আইন আদালত সুপ্রিম কোর্ট।
অন্যদিকে কিছুদিন আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনে ঘোষণা করেছিলেন যে দেশের সমস্ত বেসরকারী হাসপাতালকে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি ১৫০ টাকায় প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন দেবে। কিন্তু বাস্তবে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ উঠেছে যে বেসরকারি বাজারে ভ্যাকসিনের দামে কেন্দ্রীয় নীতি মানা হচ্ছে না। আগের মতই ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন কিনতে বেসরকারী হাসপাতালকে প্রতি ডোজে ১২০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। এই কথা স্বীকার করে নিয়ে সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে, "কেন্দ্রীয় সরকারকে দীর্ঘ সময় ধরে ডোজ প্রতি ১৫০ টাকা মূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা সম্ভব নয়। তা করলে বেসরকারি ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের দাম অত্যধিক বেড়ে যাচ্ছে। ব্যয়ের সামঞ্জস্য বজায় রেখে বেসরকারি বাজারে বেশি দাম রাখা দরকার। ভ্যাকসিনের কাঁচামাল আমদানি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও উৎপাদন ইউনিট স্থাপনের জন্য ৫০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।"