কাশ্মীরের কুলগামে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত ২ ভিনরাজ্যের শ্রমিক
সন্ত্রাসবাদী হামলায় এই নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৪ ভিনরাজ্যের শ্রমিকের মৃত্যু হল কাশ্মীরে
কাশ্মীরে আবারও সন্ত্রাসবাদের শিকার ভিনরাজ্যের শ্রমিক। এবার ঘটনাস্থল কুলগাম। রবিবার কুলগামে ২ ভিনরাজ্যের শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করল সন্ত্রাসবাদীরা। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক।
সূত্রের খবর, রবিবার কুলগামের ওয়ানপো অঞ্চলে শ্রমিকদের এক ভাড়াবাড়িতে আচমকাই ঢুকে পরে জঙ্গিদের দল। ঘরের ভিতরে ঢুকেই তারা শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে দুই শ্রমিকের। ঘটনার পরেই নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয় সমগ্র এলাকা। এবিষয়ে কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে টুইটে জানানো হয়েছে, ‘কুলগামের ওয়ানপো অঞ্চলে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। সন্ত্রাসবাদী হামলায় ভিনরাজ্যের দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন একজন’।
জাতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, জঙ্গি হামলায় মৃত দুই শ্রমিকের নাম রাজা রেশি এবং জগিন্দর রেশি। আহত ব্যক্তির নাম চুনচুন রেশি দেব। মৃত সকলেই বিহারের নিবাসী। উল্লেক্ষ্য, গতকালও জঙ্গিদের গুলিতে প্রান হারান দুই শ্রমিক। তাঁদের মধ্যেও একজন ছিলেন বিহারের বাসিন্দা। অন্যজন উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর-নিবাসী ছিলেন। তবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন বিহারী শ্রমিকের হত্যার ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। যদিও ইতিমধ্যেই কাশ্মীর উপত্যকার ১০ টি জেলার পুলিশের উদ্দেশ্যে এক বার্তায় কাশ্মীর পুলিশের ডিআইজি বিজয় কুমার নির্দেশ দিয়েছেন, থানাগুলির আওতাভুক্ত অঞ্চলগুলির সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিককে নিকটবর্তী থানা বা আধা-সামরিক বাহিনী বা সেনার ক্যাম্পে নিয়ে যেতে হবে।
প্রসঙ্গত, এমাসের শুরুর দিক থেকেই কাশ্মীরে আততায়ী হামলা চালাচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা। মাসের প্রথম দিকে শ্রীনগরে পর পর হামলা চালায় তারা। যার জেরে মৃত্যু হয় কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং স্থানীয় প্রসিদ্ধ ওষুধ ব্যবসায়ী মাখন লাল বিন্দ্রু। এছাড়াও শ্রীনগরের রাস্তায় বিরেন্দর নামে এক হকার এবং মোঃ শাফি নামে স্থানীয় ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সভাপতিকে গুলি করে হত্যা করে তারা। এক কিছুদিন পর শ্রীনগরের ঈদগাহ এলাকার এক স্কুলে হামলা চালায় জঙ্গিদের দল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সীতন্দর কৌরি এবং পার্শ্বশিক্ষক দীপক চাঁদ ঘটনাস্থলেই গুলির আঘাতে নিহত হন। কাশ্মীরের পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত। একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায় সমগ্র এলাকার নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।