গজনি, হেরাটের পর এবার কন্দহর শহরও দখল করল তালিবানরা। বর্তমানে কাবুল দখল করতে অগ্রসর হয়েছে তালিবানিরা। জঙ্গিরা যেভাবে নির্মমভাবে প্রদেশ ও শহরগুলিতে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে তাতে কাবুলের পতন বেশি দূরে নেই।ইতিমধ্যেই ১৪টি প্রদেশ দখল করে ফেলেছে জেহাদিরা। এহেন পরিস্থিতিতে জার্মানি সাফ জানিয়ে দিয়েছে বন্দুকের জোরে কাবুলে শরিয়ত প্রতিষ্ঠা করলে আফগানিস্তানকে এক পয়সাও আর্থিক মদত দেওয়া হবে না।
জার্মান বিদেশমন্ত্রী হাইকো মাস জানিয়েছেন, "আফগানিস্তানে শরিয়ত আইন লাগু করলে আর্থিক অনুদান দেওয়া বন্ধ করা হবে। আমরা প্রতি বছর ৪৩০ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক অনুদান দেই। তবে তালিবান যদি জোর করে আফগানিস্তান দখল করে এবং শরিয়ত আইন বলবৎ করে তাহলে আমরা এক পয়সাও দেব না।"
তবে এবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনেটর আফরাসিয়াব খট্টক বলেন, "আফগানিস্তানে তালিবান যেভাবে কাবুলের পথে এগিয়ে চলেছে, তাতে খুব খুশি পাকিস্তান। কাজেই, তালিবানকে সাহায্য করছে পাকিস্তান।" এমন মন্তব্যে শোরগোল শুরু হতেই তিনি সাফাই দিয়ে বলেন, "আমি বলতে চাইছি, পাকিস্তানের জেনারেলরা এতে খুশি হচ্ছেন।"
তাঁর আরও দাবি, ইমরান খান সরকারের তোয়াক্কা না করেই সেনাবাহিনী তালিবানকে সাহায্য করে চলেছে। মার্কিন সেনাদের দাবি, খুব শীঘ্রই কাবুলে ঢুকে, আফগানিস্তানে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তবে এতে উঠেছে প্রশ্ন, কীভাবে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে তালিবানেরা? মানুষকে বুঝিয়ে নাকি নিজেদের বল ও প্রভাব বিস্তার করে? তবে জার্মান বিদেশমন্ত্রীর সাফ কথা, "আফগানিস্তানে শরিয়ত আইন লাগু করলে আর্থিক অনুদান দেওয়া বন্ধ করা হবে।"