রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আজকে সপ্তম দিনে পড়ল। দুই পক্ষ শান্তি আলোচনায় বসলেও কোনো দিক দিয়েই যুদ্ধ থামানোর ইঙ্গিত মিলছে না। উপরন্তু রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যতক্ষণ না ইউক্রেনের সব ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে তারা কোনভাবেই শেলিং থামাবে না। অপরপক্ষে জানা যাচ্ছে, ইউক্রেনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিভ শহরকে উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে রুশ বাহিনী।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আর হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই কিভ সম্পূর্ণ দখল করে নেবে রাশিয়ান বাহিনী। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ভাবাচ্ছে অন্য জিনিস। রুশ বিমান বাহিনীর অত্যন্ত নিষ্ক্রিয়তা দেখা গেছে গত কয়েক ঘন্টায়। শক্তিশালী রুশ বায়ুসেনার হলটা কী? কেনই বা ইউক্রেনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে না তাঁরা? তুলনায় শিশু ইউক্রেনীয় এয়ারফোর্সকে কেনই বা বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছে রুশ এয়ারফোর্স? এই নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে তুমুল জল্পনা-কল্পনা। তবে অনেকেই মনে করছেন, এটা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কোনো বিশেষ যুদ্ধনীতি।
ইতিমধ্যেই সারারাত জুরে কিভ শহর থেকে শোনা গেছে একাধিক বিস্ফোরণের আওয়াজ। এদিকে ইউক্রেনের শহর কন্টপের মেয়র জানান, "রাশিয়ার তরফে তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে যে অস্ত্র নামিয়ে আত্মসমর্পণ না করলে গোটা শহর ধ্বংস করে দেওয়া হবে"। যুদ্ধের আপডেট দিতে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, "বিগত ছয় দিনের যুদ্ধ তারা ৬০০০ রুশ সৈন্য নিকেশ করেছেন"।
এসবের মধ্যেই গতকাল কিভে বোমার আঘাতে প্রাণ হারান এক ভারতীয় মেডিকেল স্টুডেন্ট। এরপরই সব ভারতীয়দের ওই শহর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে। এই প্রসঙ্গে বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, "কিভে আর কোনো ভারতীয় নেই, সবাই কথা মত শহর ছেড়ে দিয়েছেন"। এই যুদ্ধ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আজ বুধবার উত্তরপ্রদেশের এক জনসভায় নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, "আজ বিশ্বমঞ্চে ভারতের শক্তি বাড়ছে বলেই ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের সফলভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারছি"।