উত্তর পূর্বের (North Eastern) রাজ্যগুলির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাস থেকে মায়ানমারের (Myanmar) চিন প্রদেশের (Chin State) ২,০০০ এরও বেশি শরণার্থী (Refugee) মিজোরামের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। বিগত দু সপ্তাহে যারা এসেছেন, তাদের অধিকাংশ মানুষের শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে। কেউ কেউ আইজল (Aizawl) এর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সূত্র মারফত এক শরণার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার মৃতদেহ সীমানা (Border) পেরিয়ে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মায়ানমারে সামরিক শক্তির অভ্যুত্থান হওয়ার পর, চিন প্রদেশ, মায়ানমার জুন্টার (Junta) সবথেকে বেশি অত্যাচার প্রত্যক্ষ করেছিল। ১৫,০০০ এরও বেশি শরণার্থী এই প্রদেশ থেকে সীমানা পেরিয়ে ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছে। মায়ানমারের চিন প্রদেশ এর সঙ্গে মিজোরামের ৫১০ কিলোমিটার এর সীমানা রয়েছে। সীমান্তের দুই দিকের দুই প্রদেশের জনজাতির সাংস্কৃতিক মনন বহুলাংশে সমতুল্য। গত বছর, কেন্দ্র সরকার বাস্তুচ্যুত লোকদের কাউকে আশ্রয় না দেওয়ার এবং তাদের নির্বাসনে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল, উত্তর-পূর্ব (North Eastern) রাজ্যগুলির সরকার এবং আসাম রাইফেলসকে (Assam Rifles)। কিন্তু মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) জোরামথাঙ্গা (Zoramthanga) সেই আদেশ মানতে অস্বীকার করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে শরণার্থীদের যত্ন নেওয়া মিজো জনগণের কর্তব্য। ডিসেম্বরে জোরামথাঙ্গা জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সাথে বৈঠকের পর, তাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে কেন্দ্র সরকার শরণার্থীদের সহায়তা করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে চলেছে। জোরামথাঙ্গা বলেছেন, "কেন্দ্র সরকার সাহায্য করতে ইচ্ছুক, কিন্তু মায়ানমারের শরণার্থীদের ভারত সরাসরি সাহায্য করতে পারে না কারণ ভারত 1951 সালের জাতিসংঘের রিফিউজি কনভেনশন (UN Refugee Convention) এবং এর 1967 সালের প্রোটোকলের (Protocol) স্বাক্ষরকারী নয়।" কাজেই, সেই পরিকল্পনা এখনও অমীমাংসিত।