ইউক্রেন (Ukraine) হামলা প্রসঙ্গে নয়া দিল্লির (New Delhi) প্রতিক্রিয়া মার্কিন কর্মকর্তাদের হতাশ করছে। বুধবার এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের (Joe Biden) শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক ব্রায়ান ডিজ ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর আয়োজিত একটি বৈঠকে সাংবাদিকদের বলেন, "অবশ্যই এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে আমরা চীন ও ভারত উভয়ের সিদ্ধান্তে আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে হতাশ হয়েছি।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ভারত তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সুসম্পর্ক বজায় রেখে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে। নয়াদিল্লির এই প্রতিক্রিয়াই ওয়াশিংটনের সাথে ভারতের সম্পর্ককে জটিল করে তুলছে। ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দিলীপ সিংয়ের ভারত সফর প্রসঙ্গে সপ্তাহের শুরুতে প্রেসসচিব জেন সাকি বলেছিলেন, "এই সফরে দিলীপ সিং তাঁর প্রতিপক্ষদের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আমরা বিশ্বাস করি না, রাশিয়ান শক্তি এবং অন্যান্য পণ্য আমদানি ত্বরান্বিত করতে ভারত এই পদক্ষেপ নিয়েছে।"
বুধবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সাতটি গোষ্ঠীর বাকি দেশগুলি ভারতের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক শক্তিতে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করে। রাশিয়া থেকে তেলের আমদানির পাশাপাশি ভারত রাশিয়ার অস্ত্রের বিশ্বের বৃহত্তম ক্রেতা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ককে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার অনুরোধকে প্রতিহত করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে পাকিস্তান এবং চীন উভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভারতের রাশিয়ান অস্ত্রের প্রয়োজন এবং যারা এবিষয়ে অবগত তারা জানেন ঐ অস্ত্রের বিকল্পের মুল্য ভাবনার চাইতেও বেশী।