ভারত ও পাকিস্তানের 'স্বাভাবিক প্রতিবেশি সম্পর্ক' এবং সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের পক্ষে ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের (The United Nations) নিরাপত্তা পরিষদের (Security Council) ৭৮ তম সাধারণ সভায় ভারতের প্রতিনিধি আর মধুসূদন এমন কথা বলেছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের এই বিতর্ক সভায় ভারতের পক্ষে আরও বলা হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সমস্যা উভয়পক্ষের পূর্ণ সহযোগিতায় মেটাতে হবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের প্রতিনিধি মুনির আক্রম বিতর্ক চলাকালীন কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তোলেন। তবে নতুন দিল্লির পক্ষ থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে পাকিস্তান প্রশ্ন তোলায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। আর মধুসূদন বলেছেন, "এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে পাকিস্তান ক্রমাগত ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলে অগষ্ট ফোরামের মর্যাদাকে নষ্ট করছে। আমি আশা করছি আন্তর্জাতিক মহল পাকিস্তানের এই কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।" তিনি আরও বলেন, "ভারতের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের সিদ্ধান্ত ভারতীয় সংসদ গ্রহণ করেছে। যা নিতান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ শাসন কাঠামোর বিষয়। তাই পাকিস্তানের এই বিষয়ে কথা না বলে দুই দেশের সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত।"
ভারতের প্রতিনিধি আর মধুসূদন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ সভায় পাকিস্তানের এ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলায় তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁর স্পষ্ট দাবি, ভারত ও পাকিস্তানের স্বাভাবিক প্রতিবেশি দেশের সম্পর্ক। দুই দেশের এগিয়ে আসা উচিত সন্ত্রাসবাদ দমনে। সীমান্ত প্রদেশে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে উভয়পক্ষকেই লড়তে হবে।
উল্লেখ্য, ভারতে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সেনাপ্রধানরা এই বিষয়ে কথা বলা শুরু করেন। যা কখনোই উচিত নয় বলে মনে করছেন একাংশ। যদিও পাকিস্তানের সেনা প্রধান ওমর জাভেদ বাজওয়া এপ্রিলে বলেছিলেন, এখন সময় এসেছে অতীত ইতিহাস ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, ভারতের আগে এগিয়ে আসা উচিত দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানে।