যুদ্ধ আজ পা দিল অষ্টম দিনে। এক সপ্তাহ ধরে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ এবং দূরপাল্লার শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হানার পরে এবার খারকিভ-সহ ইউক্রেনের একাধিক শহর দখলের জন্য মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমে পড়েছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে শান্তির জন্যে তারা বৈঠকে বসতে রাজি, কিন্তু আক্রমণ বন্ধ হবে না।
জানা যাচ্ছে, ইউক্রেন সেনার প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার, যুদ্ধের অষ্টম দিনে দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দর-শহর খেরসনের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। কৃষ্ণসাগরের উপকূলবর্তী বড় শহর ওডেসা এবং মারিউপোল শহর দখলের জন্যও আক্রমণের তীব্রতা বাড়ানো হয়েছে। যখন তখন পতন ঘটবে শহরগুলির। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, বিগত আট দিনের মধ্যে আজকের সাফল্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং গুরুতর।
এহেন অবস্থায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ভ্লাদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়া যেটাকে সাফল্য বলে দাবি করছে সেটা আদৌ সাফল্য নয়। তিনি বলেন, "সেনাদের কথা ছাড়ুন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সাফাই কর্মী এবং কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে গিয়ে রাশিয়ার ট্যাংক দখল করে নিয়ে চলে আসছে। রুশ সৈন্যরা নিজেরাই বুঝতে পারছে না তাদের কোন দিকে যাওয়া উচিত"। জেলেন্সকির স্পষ্ট হুংকার, "ধ্বংস হবে রাশিয়া!"।
ইতিমধ্যেই আজ দুপুরে রাশিয়া থেকে ফিরে এসেছে একদল ছাত্র-ছাত্রী। ছাত্র-ছাত্রীরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বেঁচে ফেরায় দিল্লি এয়ারপোর্টে তাদের পরিবারের আবেগ দেখার মত ছিল। সেখানকার এক জনৈক ভদ্রলোক জানান তিনি গত দু'দিন ধরে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট অপেক্ষা করছিলেন নিজের মেয়ের জন্য। তার মেয়ে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়ছে। সব মিলিয়ে আজকে প্রায় ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী ফিরে এসেছে দেশে, বাকিদেরও ফেরানোর কাজ চলছে। জানা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদী পুতিনকে ফোন করে ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সেফ প্যাসেজের ব্যবস্থা করেছেন।