মহাকাশ (Space) নিয়ে মানুষের প্রশ্নের শেষ নেই। সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকেই মানুষের কাছে মহাকাশ নিয়ে কত প্রশ্ন, কত বিস্ময়। বিগত কয়েক দশকে বিশ্বজুড়ে মহাকাশ গবেষণা কাজের ক্ষেত্র বহুধা বিস্তৃত হয়েছে। সেই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইউএসএ) একটি নয়া উদ্যোগ গ্রহণ করল বলে সূত্রের খবর। 'মহাকাশ সকলের জন্য' এই স্লোগানকে সামনে রেখে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধকতা যুক্ত (Physically Challenged) মানুষদের জন্য মহাকাশ অভিযানের দ্বার খুলে দিতে চলেছে এই ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। বিশ্বে প্রথম শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যুক্ত নভশ্চরকে মহাকাশে পাঠাতে চলেছে ইউরোপের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বলে সূত্রের খবর।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির প্রধান জোসেফ অ্যাসবাচার উল্লেখ করেছেন, মহাকাশ সকলের জন্য এই বার্তাকে সামনে রেখে আমাদের এই উদ্যোগ। এতদিন পর্যন্ত শারীরিকভাবে সবল মহাকাশ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যুক্ত কোন ব্যক্তি এই অভিযানে অংশ নেবেন। যা বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম হবে। তিনি আরও বলেছেন, এই বিষয়ের উপর বিশ্ব জুড়ে অন্তত ২২ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। এর থেকে বেশ কয়েক জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণের পর একজন ভাগ্যবান ব্যক্তিকে পাঠানো হবে মহাকাশে। নতুন ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এই উদ্যোগ, জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির আরিয়ান রকেট একসময় জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন এবং এলন মাস্কের স্পেস এক্সের সঙ্গে সমান তালে লড়াই করেছে। ইতিমধ্যেই অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোস তো ঘোষণা করেছেন আগামী মাসেই নিজের তৈরি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবেন তিনি। বাণিজ্যিক ভাবে মহাকাশ অভিযানের কথা বলেছেন জেফ বেজোস। আগামীতে অর্থ খরচ করলেই মানুষ হয়তো মহাকাশ অভিযানে বেরিয়ে পড়তে পারেন।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির প্রধান জোসেফ অ্যাসবাচার বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম কোন এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে। এই অভিযান সফল হলে নতুন এক ইতিহাস তৈরি হবে। উল্লেখ্য, জোসেফ অ্যাসবাচার ছোট থেকেই নভশ্চর হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বাবার কাছেই আকাশের তারাদের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। স্কুলে পড়াকালীন তিনি এই ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সিতে আসার আবেদন জানিয়েছিলেন। এখন তিনি এই সংস্থার প্রধান। মানুষের কাছে তাই মহাকাশকে উন্মুক্ত করে দিতে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন তিনি।