করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বব্যাপী কাজ হারিয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ এবং আমেরিকায় এই বেকারত্বের হার ক্রমশঃ উর্দ্ধমুখী। তবে এরই মাঝে মার্কিন মুলুকেই হোটেল থেকে হসপিটাল, অ্যাপ ক্যাব থেকে অনলাইন হোম ডেলিভারি; সমস্ত ক্ষেত্রেই শুরু হয়েছে যন্ত্রমানব বা রোবটের অগাধ আনাগোনা।
শুধুমাত্র অক্টোবরেই আমেরিকায় কাজ হারিয়েছেন প্রায় এগারো মিলিয়ন মানুষ এবং এরই মাঝে অটোমেটেড বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের অত্যধিক ব্যবহার মানুষের কাজে ফেরার সম্ভাবনা কমিয়ে দিচ্ছে ক্রমাগত। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পদ্ধতিতে ড্রোন দ্বারা অনলাইন পণ্য পরিসেবা, রোবট দ্বারা হোটেলের আতিথেয়তা, করোনা পরীক্ষা, বডি চেকিং, ডেস্ক ক্লার্ক, রিটেল চেক সবই যেন মানুষের কর্মসংস্থান থেকে সর্বোপরি অস্তিত্বেই যেন প্রশ্ন হেনেছে।
ফিলাডেলফিয়ার সিনিয়র অর্থনৈতিক বিশ্লেষক লে ডিং এর মতে করোনা বিতাড়নে আরো দীর্ঘ সময় লাগলে এই স্বয়ংক্রিয় যন্ত্ররাই যে স্থায়ী হবে কর্মস্থানে, তা প্রায় নিশ্চিত এবং একইসাথে নিশ্চিত কর্মীদের বেকারত্বও। পেনসিলভেনিয়ায় ৩০০ জন বিতাড়িত কর্মীর একটি সংগঠনের প্রধান জানান সুরক্ষা ভাবতে গিয়ে কাজ হারানো ভয়াবহ। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অর্থনীতিবিদ ড্যারন একমোগলুর কথায়, এই স্বয়ংক্রিয়তা অসাম্য বৃদ্ধিতে আরও সক্রিয় হচ্ছে।