ফের বির্তকে হোয়াটসঅ্যাপ। বির্তকিত নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক। সুপ্রিম কোর্ট সোমবার মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)-এর নতুন গোপনীয়তা নীতি নিয়ে কেন্দ্র এবং হোয়াটসঅ্যাপকে নোটিশ দিয়েছিল। আর প্রাইভেসি পলিসি সংক্রান্ত সেই মামলায় হোয়াটসঅ্যাপকে আদালত এদিন সাফ জানিয়ে দিল, "নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং গোপনীয়তা নিয়ে সাধারণ মানুষ চিন্তিত। এই পরিস্থিতিতে আদালত হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য। ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ যত দামি সংস্থাই হোক না কেন, সাধারণ মানুষের গোপনীয়তাকে গুরুত্ব দিতেই হবে।"
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই রব উঠেছিল হোয়াটসঅ্যাপের নতুন পলিসির। এরপরেই বির্তকের মুখে পড়ে হোয়াটসঅ্যাপের পলিসির যাবতীয় তথ্য। অ্যাপের তরফে বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, এই পলিসি মানলে হবে নচেৎ হোয়াটসঅ্যাপকে বিদায় জানাতে হবে গ্রাহকদের। আর এই পলিসির কথা প্রকাশ হতেই, জনসাধারণই হোয়াটসঅ্যাপকে ছেড়ে টেলিগ্রাম এবং সিগন্যাল অ্যাপে ভীড় করেছিল। এরপরেই হোয়াটসঅ্যাপের তরফে বিবৃতি দিয়ে ইউজারদের আশ্বাস দেওয়া হয় যে, গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিত। তবে এতে কাজ হয়নি, কাজেই বাধ্য হয়ে প্রাইভেসি পলিসি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু মে’র পর নাকি ফের নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে ফিরবে হোয়াটসঅ্যাপ। এই পরিস্থিতিতে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রাইভেসি পলিসি আপডেট হওয়া রুখতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক সমাজকর্মী।
এই মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতি বললেন, "হতে পারেন আপনারা ২-৩ ট্রিলিয়ন ডলারের সংস্থা। কিন্তু মানুষ নিজেদের গোপনীয়তাকে বেশি গুরুত্ব দেয়। যদি A কোনও মেসেজ B বা C কে পাঠায়, আর সেটা ফেসবুকে শেয়ার হয়ে যায়, তাহলে নিজেদের তথ্য নিয়ে মানুষ ভয় পাবেই। আর মানুষের গোপনীয়তা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।”