শুক্রবারই তাঁর শেষ দিন। দেশের ৪৮ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে এনভি রমানা তাঁর কার্যকাল শেষ করবেন। তার আগেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন। বিষয়টি তিনি তিনজন গুরুত্বপূর্ণ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দায়িত্ব দিয়ে দিলেন।
কী সেই জনস্বার্থ মামলা? নির্বাচনের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গালভরা প্রতিশ্রুতি দেন। সেই সময় চলে খয়রাতির রাজনীতি। সুস্থ গণতন্ত্রের পক্ষে তা কি আদৌ যৌক্তিক, এই মর্মে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিতে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে একাধিক বিষয় বিবেচনা করতে হবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে বিতর্ক হতে পারে।
তিনি আরও বলেছেন, জনকল্যানমূলক কর্মসূচিতে বিনামূল্যে কোন কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি (ফ্রিবিজ) দলগুলির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে। এসবের রাজ্যগুলি তাদের সাধারণ মানুষের করের টাকা থেকে দিয়ে থাকে। কিন্তু তা কতটা যৌক্তিক? সাধারণ মানুষকে এইভাবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়।
শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণ করেছিল যতক্ষণ না রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত না হয় যে অবাধ সুবিধাগুলি অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চলেছে এবং বন্ধ করতে হবে, ততক্ষণ কিছুই ঘটতে পারে না কারণ কেবলমাত্র রাজনৈতিক দলগুলিই এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দেবে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এ কখনও গণতন্ত্রের মাপকাঠি হতে পারে না।
পাশাপাশি এদিন ২০০৭ সালের গোরক্ষপুর হিংসা নিয়েও প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ ঘোষিত হয়েছে। ওই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তৃতার অভিযোগ ছিল। সমস্ত অভিযোগ এদিন খারিজ হয়ে গিয়েছে।