বছর উনিশের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের ড্রোনের কেরামতিতে প্রাণ বাঁচলো মাঝ সমুদ্রে ডুবন্ত চার মৎস্যজীবীর। প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রকে উদ্ধারকার্যের জন্য ধর্তব্যে না আনা হলেও এই ঘটনার পর ভবিষ্যতে ড্রোন প্রযুক্তিকে মাঝসমুদ্রে উদ্বারকাজে লাগানোর কথা ভাবছে কেরল ফিসিং বোট অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন।
কীভাবে সম্ভব হল এমনটা? সূত্রের খবর কেরালায় ত্রিশূরের নাট্রিক উপকূলে থেকে দূরের সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে উল্টে যায় ওই মৎস্যজীবীদের নৌকা। খবর পেয়ে ক্রাইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র দেবাং সুবিল তার ড্রোনের ব্যবহার করতে এগিয়ে আসেন। প্রাথমিকভাবে তাকে গুরুত্ব না দিলেও দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টার পরেও তাদের খোঁজ না মেলায় প্রশাসন সাহায্য নেয় ওই পড়ুয়ার। উদ্ধারকারীদের নৌকা নিয়ে উপকূল থেকে ১১ নটিক্যাল মাইল দূরে গিয়ে ড্রোন ওড়াতেই ২০ মিনিটের মধ্যে ক্যামেরার নজরে আসে একজন ডুবন্ত মৎস্যজীবী। বাকি দুজনকে আশপাশ থেকেই উদ্বার করা গেলেও বাকি একজনের খোঁজ পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। হাসপাতালের চিকিৎসায় প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। বিজ্ঞানের কুশলী দেবাং এখন স্বভাবতই সকলের প্রশংসার কেন্দ্র।