টেকসই উন্নয়ন (sustainable development) এবং পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত পত্রিকা “গ্রিনম্যাটার্স”-এর খবরে জানা গেছে, এবছর আমাজনের দাবানলের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হবে। "গ্রিনপিস"-এর হিসাব অনুযায়ী এবছরে ব্রাজিলের বর্ষাবনে ৭৫ হাজারের বেশি দাবানল হয়েছে। গত বছরের তুলনায় তো বটেই, ২০১৩ সালের পর এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমাজনে শুষ্ক আবহাওয়া থাকে। ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইন্সটিচিউট ফর স্পেস রিসার্চ (INPE) বলছে যে গত বছর ৮০,০০০ টি দাবানলের ঘটনা ঘটে। এবছর জুলাই ও আগস্ট মাসে দাবানলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে বৃষ্টিপাত অনেক কম হয়। ব্রাজিলের অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন এই বনাঞ্চল পৃথিবীর ফুসফুস এবং জৈব বৈচিত্র্যেও তুলনাহীন।
![Lightning dark sky rain forest Bengali News](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails-big/duncan-maloney-dg5KvcVv7tU-unsplash.jpg)
এই দাবানল তৈরি হতে পারে প্রাকৃতিক কারণে, যেমন বাজ পড়লে। কিন্তু স্বার্থান্বেষী কাঠ ব্যবসায়ী এবং ফসল উৎপাদনের জন্য অথবা পশু চরানোর জন্য জমি পরিষ্কার করার কারণে জঙ্গলে আগুন দিয়ে থাকে। গত বছর দাবানল নিয়ন্ত্রণে সরকারের অনীহার কারনে কলকাতা সহ পৃথিবীজুড়ে প্রতিবাদ হয়। সেই চাপে ব্রাজিল সরকার কিছু লোক দেখানো কর্মসূচী গ্রহণ করে।
![Jair M. Bolsonaro, Brazil president Bengali News](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails-big/50355631326_318d5f7072_o.jpg)
দুঃখের বিষয় যে ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনারু এই দুর্যোগকে অস্বীকার করছেন। গত বছর সরকারে আসার পর থেকেই ব্রাজিলের বনাঞ্চল পরিষ্কার করে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তার মতে, "বনাঞ্চল রক্ষার তুলনায় উন্নয়নের জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা অনেক গুরুত্বপুর্ন।" ছবি সহ গার্ডিয়ান এই খবরও প্রকাশ করে যে, "আসল ঘটনার বিষয়ে বার বার মিথ্যা ভাষণ করে তাকে সত্যে রূপান্তরিত করা পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র নায়কদের এক অভ্যাস হয়ে গেছে।"
![Letica pact Brazil Bengali News](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails-big/amazon-aid-foundation-blog-leticia-act-explained.jpg)
গত আগস্টে আমাজন রক্ষার জন্য তৈরি ৭ টি দেশের লেতিসিয়া চুক্তি (Leticia Pact)-র সভায় বলসোনারু সগর্বে বলেন, যে-কেউ আমাজনের ব্রাজিলের অংশে উড়োজাহাজে ঘুরে এসে দেখতে পারে। তাঁর মতে এবছর একটিও দাবানলের ঘটনা ঘটেনি। এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে The Guardian। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক নিয়ে একটি ২ ঘন্টার উড়ানে তারা হাজার হাজার দাবানল দেখতে পান।