স্কুল যাওয়ার সময় মোটা মোটা বইভর্তি ব্যাগের ভারে নুইয়ে যায় একরত্তিরা। তবে সেই মুশকিল এবার আসানের পথে। কিন্তু কে করছে সেই মুশকিল আসান? সেও একজন খুদেই। বিদেশ নয়! এদেশেরই ১২ বছরের এক ছেলে সমবয়সীদের ব্যাগের ভার কমানোর দায়িত্বভার চাপিয়ে নিয়েছে নিজের কাঁধে। এমন এক ব্যাগের ডিজাইন বানিয়েছে হায়দ্রাবাদের (Hyderabad) রেহান রাজ, যা ব্যাগের সমস্ত ওজন সারা শরীরে সমানভাগে ভাগ করে দেবে। যার ফলে সহজেই কমে যাবে দুই কাঁধের উপর ব্যাগের বোঝা।
অষ্টম শ্রেণীর রেহানের মাথায় কিভাবে উৎপত্তি হল এই ব্যাগ তৈরির ইচ্ছা? সংবাদমাধ্যমকে রেহান জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলে যাওয়ার পর একদিন স্কুল যাওয়ার সময় সে উপলব্ধি করে, এতো ভারী ব্যাগ নিজের কাঁধে চাপানো উচিত নয়। এর ফলে ভবিষ্যতে তার মেরুদণ্ডজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্কুল থেকে ফেরার পর প্রায়দিনই তার পিঠে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হত। সেখান থেকেই এমন ব্যাগ তৈরি করার কথা মাথায় আসে তার।
রেহানের কথায়, আর পাঁচটা সাধারণ ব্যাগের মতোই দেখতে এই ‘আউফেরো’ ব্যাগটি (Aufero bag)। ফারাকের দিক থেকে বলতে গেলে, বাকিদের মতো ব্যাগের ভার কেবলমাত্র কাঁধের উপর না ফেলে এটি ওজনকে সারা শরীরে ভাগ করে দেয়। ভারী বইগুলি আড়াআড়ি ভাবে রাখার কারনে সেগুলি ব্যাগের তলায় ভার হয়ে যায় না। ব্যাগের পিছনে থাকা বিশেষ ফোম পিঠের আকার অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। পাশাপাশি রেহান জানিয়েছে, ব্যাগের বাইরের অংশটি তৈরি হবে দূষক শোষণকারী কাপড় দিয়ে। ভিতরের আস্তরন তৈরি হবে কেভলার দিয়ে। গ্রাহকদের চাহিদামতো ব্যাগটিকে জল এবং আগুন নিরোধক বানানো হবে বলেও জানিয়েছে রেহান।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এই ব্যাগের ধারণায় ভর দিয়ে ‘স্পার্ক ট্যাঙ্ক’-এর সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে রেহান। তার আইডিয়া রীতিমতো নজর কেড়েছে বিচারকদের। এখন দেখার, কবে সশরীরে বাজারে হাজির হয় ‘বিস্ময়’ খুদের তৈরি এই ‘বিস্ময়’ ব্যাগ।