ভোটের কথা বললেই মাথা নিচু ওঁদের। কারণ, ওঁরা যে হেরো। চাকরির প্রতিশ্রুতি কিংবা পড়াশোনার কথা শুনিয়েও হয়নি জিত। তবে হার মানতেও নারাজ তাঁরা। ভোটে হারলেও মানুষের পাশে সর্বক্ষণ রয়েছে তাঁরা। রাতবিরেতে ছুটে চলেছে করোনাক্রান্ত মুর্মুষ রোগীকে বাঁচাতে। অক্সিজেন থেকে ওষুধ, অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ডাক্তার কিংবা বেড। সব প্রয়োজনেই শূন্য দলের ছাত্র যুবরা। আর তাই বিশ্ব সংগীত দিবসে 'রেড ভলেন্টিয়ার্স'দের থিম সং-এ বাজছে ড.সৌমিক দাসের কন্ঠে, "প্রশাসন হারিয়েছে নিজের শাসন, তোদের ভরসাটুকুই থাক।"
গানের মূল কথাতেই উঠে আসছে, "রেড ভলেন্টিয়ার রেড ভলেন্টিয়ার ওঁরা আছে মানুষের পাশে। রেড ভলেন্টিয়ার রেড ভলেন্টিয়ার মানুষের প্রতি নিশ্বাসে।" বিশ্ব সংগীত দিবসে এমন একটি গান উপহার হিসেবে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সকলেই। দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন, "লাল সেলাম কমরেড। মানুষ বাঁচানোর এ লড়াই চলছে চলবে। অসাধারণ গান। খুব সুন্দর করে লিখেছেন গানের প্রত্যেকটা লাইন। আপনি একজন অসাধারণ শিল্পী।"
প্রসঙ্গত, বামপন্থীদের শাসনকাল যেমনই থাক, আপনি সেই দল নিয়ে বহু অভিযোগ করলেও আপনাকে মানতেই হবে করোনাকালীন সময়ে তাঁদের সহযোগিতার কথা। ভোটের আগে প্রচারের জন্য হোক কিংবা ভোটের পরে নিজেদের অবস্থান বোঝাতে হোক, একদিনও বসে থাকেনি বামপন্থী মনোভাবাপন্ন তরুণ এই প্রজন্ম। বরং করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ নাম দিয়ে নিজেদের দল তৈরি করে দৌড়ে বেড়িয়েছে তাঁরা রাজ্যের সর্বত্র। কাজেই এই গান একেবারেই তাঁদের কাজের সঙ্গেই মিলে গিয়েছে অক্ষরে অক্ষরে।