চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। রাজ্য সরকার থেকে কলকাতা হাইকোর্ট, ইতিমধ্যেই নিজেদের রায় জানিয়ে দিয়েছেন। তবে এবার পালা কলকাতা পুলিশের। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে গতবারের থেকেও এবছরে বেশি কড়া কলকাতা পুলিশ। এদিন বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিসের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনার সৌমেন মিত্র। ২০২০-তে কোভিডের আশঙ্কা ও হাইকোর্টের নির্দেশের জেরে পুজো মণ্ডপ এবং রাস্তায় ভিড় কম ছিল। এবারও হাইকোর্টের একই নির্দেশ বহাল থাকলেও গতবারের তুলনায় রাস্তাঘাট এবং পুজো মণ্ডপগুলিতে ভিড় বেশি হবে বলে মনে করছে পুলিস আধিকারিকরা। কারণ, এবার নেই নাইট কার্ফু। খোলা রয়েছে সমস্ত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পাব। তাই যানজট এড়াতে ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্টের উপর জোড় দিতে বলা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে।
তাই যানজট ও ভিড় নিয়ন্ত্রণকে মাথায় রেখে পুজোর আগে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সারল কলকাতা পুলিশ। আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে এদিন বৈঠকে যোগ দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র, অ্যাডিশনাল সিপি, জয়েন্ট সিপি, ডিসি, এসি পদমর্যাদার অফিসার, সমস্ত থানার আধিকারিক ও গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ছাড়ও ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের পদস্থ কর্তারা। পুজোর সময় যানজট ও ভিড় মোকাবিলায় কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নি বৈঠকে আলোচনা হয়।
কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিংগুলোতে ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে ল অ্যান্ড অর্ডার ফোর্সকেও থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও করোনা নিয়ে সচেতনতা তো রয়েছেই। এর সঙ্গেই পুজো নিয়ে এদিন কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "কলকাতা পুলিসের তরফে এবার প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য চারদিন বরাদ্দ করা হয়েছে। ১৫ অক্টোবর দশমী থেকে ১৮ অক্টোবর সোমবার পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাবে।"
প্রসঙ্গত, আজ বিবৃতিতে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, "অঞ্জলি, সিঁদুরখেলার মতো দুর্গাপুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত রীতি অবশ্যই পালন করা যাবে। তবে তার জন্য করোনা টিকার জোড়া ডোজ থাকা বাধ্যতামূলক।" এক্ষেত্রে যারা অঞ্জলি কিংবা সিঁদুরখেলার জন্য মন্ডপে যাবেন, তারা আদৌ জোড়া ডোজ নিয়েছেন কিনা, তা পুরোপুরি নজরদারির দায়িত্ব পুজো কমিটির। কমিটি এই বিধিভঙ্গ করলে পুজো বাতিল করে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। কাজেই, এই বিষয়টিও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে আজ প্রশাসনের তরফে।