গতকালই তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) মুখপাত্র কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ করেছিলেন 'বাঘছাল পরা বিড়াল'। তাঁর আরও শ্লেষাত্মক কথা, "সিবিআই, ইডির ভয়ে তৃণমূল কংগ্রেস আর সরকারের সব ক্ষমতায় থাকার পর গ্রেফতারি এড়াতে যে দলবদল করে, তার আবার ডায়লগবাজি! ... কাল সিআইডিতে না গেলে বুঝব বিড়াল।" সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ সিআইডির হাজিরা এড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, এদিন ইমেইল মারফত তিনি ভবানীভবনে জানিয়ে দিয়েছেন আজ যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনকী এ-ও খবর, খুব শীঘ্রই তাঁকে ফের নোটিশ পাঠানো হতে পারে।
অন্যদিকে ভবানীপুরের উপ-নির্বাচনে কি ফের মমতা-শুভেন্দুর দ্বৈরথ? অন্তত শুভেন্দু এক মন্তব্যে এমনই ইঙ্গিত খুঁজে পেয়েছেন ওয়াকিবহাল মহল। এদিন তিনি বলেন, দল চাইলে নন্দীগ্রামের মতো ভবানীপুরেও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে প্রস্তুত। এই মন্তব্যের পর রাজ্য-রাজনীতির হাওয়া গরম। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি ফের মমতা-শুভেন্দুর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখবে বাংলা? তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যাশা মতোই ভবানীপুর কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেছে, কিন্তু বিজেপির তরফে এখনও কোন নাম ঘোষিত হয়নি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দলের বিশেষ বৈঠকের পর নাম ঘোষণার সম্ভাবনা প্রবল।
কোভিড পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়। এরমধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তিন কেন্দ্রে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে। এমন অবস্থায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, করোনার কারণে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলছে না। স্কুল, কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এখানে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ আছে? তাঁর আরও অভিযোগ, "তাহলে কেবল এই তিন কেন্দ্র কেন? অন্যান্য কেন্দ্রের মানুষ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে কেন? এর পাশাপাশি পুরসভার ভোট হচ্ছে না কেন?" এমন অবস্থায় বিজেপির তরফে আইনি পথে এই তিন কেন্দ্রের নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশের মত, এই তিন কেন্দ্রে বিজেপি সুবিধাজনক অবস্থায় নেই বলে আইনকে ঢাল করতে চাইছে।