বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে থমকে থাকা উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সাড়ে ১৬ হাজার উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার।
তবে নিয়োগের পর ২বছর কেটে গেলেও স্থায়ী করা হয়নি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কয়েক হাজার স্কুল শিক্ষককে। নিয়মানুসারে, চাকরির দু বছর পর স্থায়ী করার কথা শিক্ষকদের।
শিক্ষকদের একাংশ জানিয়েছেন, "বেশ কিছু পদে নিয়োগের পরে দু’বছর কেটে গিয়েছে। কারও বা এক-দেড় মাসের মধ্যে নিয়োগের দু’বছর পূর্ণ হবে। কিন্তু কবে ওই সব পদে স্থায়ী করা হবে, সেই বিষয় অন্ধকারে।"
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নতুন শিক্ষকদের পাশাপাশি, যে-সব শিক্ষক বদলির জন্য নতুন করে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং পাশ করে নতুন ভাবে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদেরও স্থায়ীকরণ হয়নি বলে অভিযোগ।
শিক্ষকদের বক্তব্য, লক ডাউনের পর এখন সরকারি দফতরগুলিতে কাজকর্মও হচ্ছে। কিন্তু এখনও মেডিক্যাল টেস্ট এবং ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে শিক্ষা দফতরে কোনও উচ্চবাচ্য নেই। শিক্ষা দফতরে বার বার দরবার করেও কোনও কাজ হয়নি।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, "অতিমারিতে পুলিশি যাচাই ও স্বাস্থ্যপরীক্ষার কাজ চালানো হয়তো কঠিন। তাই আমরা চাই, নিয়োগের পরে দু’বছর কেটে গেলে ডিআই অফিস মারফত অনলাইনে শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা করুক পর্ষদ।"