ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের (Cyclone Jawad) দাপট শেষ হয়ে বঙ্গে ফিরেছে শীত। সঙ্গে গত কয়েক দিনে রোজ সকালে অল্প অল্প বাড়ছে কুয়াশা। আর বুধবার সকালে শহর কলকাতা এতটাই কুয়াশায় ঢাকল যে বিমান চলাচল বন্ধ রাখতে হল। কলকাতা বিমানবন্দর (Kolkata Airport) সূত্রে খবর, বুধবার সকালে প্রায় ঘন্টা দুয়েক বিমান ওড়েনি। সূত্রে খবর, ভোর ৫ টা ৩৭ মিনিট থেকে ৭ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কোন বিমান চলাচল সম্ভবপর হয়নি। এমনকী শহরের রাস্তায় যান চলাচলও শ্লথ হয়ে যায়। কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি ছিল যে সামনের কয়েক মিটারের পর আর কিছুই দৃশ্যমান ছিল না।
হঠাৎ-ই এমন কুয়াশার কারণ কী? শহরের দূষণ তো আছেই। সঙ্গে জাওয়াদের প্রভাবও কাজ করেছে। তবে বাংলায় ঝড় না হলেও অকাল বর্ষণে বাংলার চাষীদের মাথায় হাত। বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগণার চাষীদের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত আলু চাষীদের চোখে জল। মাঠের ধান মাঠেই কাটা অবস্থায় জলে ভাসছে। জাওয়াদের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে কমে গিয়ে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া দেখা দিলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কালিম্পং, দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে আজ কলকাতায় তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নামতে শুরু করেছে। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতায় মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আর মেঘের দাপটেই উত্তরে হাওয়া আসার পথে বাধা তৈরি হয়েছে। যার ফলে বঙ্গে জাঁকিয়ে শীত পড়তে আরও কিছুদিনের অপেক্ষা।
কলকাতায় ঘন কুয়াশার দাপটে বিমান চলাচলে বাধা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি নিউ টাউন, রাজারহাট, সল্টলেক-সহ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল সকাল থেকেই কুয়াশার চাদরে মোড়া। তবে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় সকাল থেকে রোদ ঝলমলে আবহাওয়া। বঙ্গে এখনও জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও এই অকাল বর্ষণের পর শীত যে আসতে চলেছে বলাই বাহুল্য। দুর্যোগের দাপট শেষ করে বঙ্গে শীতের নতুন ইনিংস পেতে আরও দিন চারেক অপেক্ষার পালা।