শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের জন্য সুখবর। আর বদলীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে না মাসের পর মাস। পাঠাতে হবে না অগুন্তি চিঠি, মেইল। শিক্ষকদের বদলীর জন্য অনলাইন ট্রান্সফার পোর্টাল চালু করল রাজ্য সরকার। শনিবারই রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই পোর্টালের উদ্বোধন করেন। বদলীর প্রক্রিয়াকরন আরও দ্রুত, সরল ও স্বচ্ছ করার জন্যই নতুন ভাবে এই পোর্টালের স্থাপনা। এদিন উৎসশ্রী’র উদ্বোধন করে ব্রাত্য বলেন, “দেশের মধ্যে প্রথমবারের জন্য আমরাই সম্পূর্ণ একটি পোর্টাল তৈরি করেছি শিক্ষকদের বদলীর বিষয়ে। এর মাধ্যমে কয়েক লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকারা সুবিধা পাবেন। সুবিধা পাবেন অশিক্ষক কর্মচারীরাও”। এছাড়াও তিনি বলেন, “কোনও ফাইল ২৪ ঘণ্টার বেশি আটকে রাখা যাবে না। পোর্টালের মাধ্যমে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নজরদারি চালানো হবে।“
এই পোর্টালের মাধ্যমে বদলীর আবেদনের জন্য একগুচ্ছ নিয়মও তৈরি করেছে রাজ্য সরকার-
- বদলীর আবেদন করার জন্য প্রথম বিদ্যালয়ে অন্তত ৫ বছর কাজ করতেই হবে উক্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে।
- বর্তমান বিদ্যালয়ের ২৫ কিলোমিটারের অবস্থিত কোনও সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ে এবং নিজের চক্রের মধ্যে কোনও প্রাইমারি বিদ্যালয়ে বদলীর আবেদন করা যাবে না।
- বদলীর নির্দেশ অগ্রাহ্য করলে আগামী সাত বছরের মধ্যে পুনঃ আবেদন করা যাবে না।
পাশাপাশি জেনারেল ট্রান্সফারের জন্যও আবেদন করার পদ্ধতির বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে এদিন। সেক্ষেত্রে-
- শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের ইউনিক আইডি ব্যাবহার করে সম্ভাব্য তিনটি বিদ্যালয়ের নাম পছন্দ করে জমা দিতে পারবেন পোর্টালে।
- এরপর অনলাইনেই ভেরিফিকেশন করে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে আবেদন চলে যাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ (প্রাথমিক) এবং বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) –এর কাছে যথাক্রমে পৌঁছে যাবে।
- অন্য জেলায় আবেদনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষকের আবেদন প্রাইমারি বোর্ড ও মাধ্যমিক শিক্ষকের আবেদন স্কুল সার্ভিস কমিশনে পাঠানো হবে।
- সেখান থেকেই আবেদনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকার বদলীর অর্ডার জারি করা হবে।
এদিন ব্রাত্য বলেন, রবিবার মধ্যরাত থেকেই চালু করা হবে এই পোর্টাল। একইসঙ্গে তিনি জানান, বদলীর ক্ষেত্রে দূরত্বকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পোর্টাল সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা দেখার জন্য কুড়ি জন আধিকারিক নজরদারিতে থাকবেন বলেও এদিন জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, বদলীর আবেদন একমাসের মধ্যেই নিষ্পত্তি করা হবে।