মঙ্গলবার বিকেলের ঘটনা। হাওড়া স্টেশনে নেমেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা সমীরণ মান্না। বয়স আন্দাজ বছর পঞ্চান্ন। তাঁর সঙ্গে ছিল রুপোর গয়না। হাওড়া স্টেশনে বাস থেকে নামতেই দুই ব্যক্তি এবং দুই কনস্টেবল তাঁর উপর চড়াও হন। একটি সাদা গাড়িতে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, নিউটাউন বিশ্ববাংলা গেটের সামনে তাঁর কাছ থেকে রুপোর গয়না কেড়ে নিয়ে নাকি তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সমীরণ মান্না বড়বাজার থানায় এসে এই চার অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিক ভাবে মনে হয় কোন অসাধু ব্যক্তি পুলিশের ছদ্মবেশে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা দেখে গোয়েন্দাদের চক্ষু চড়কগাছ। না, পুলিশি ছদ্মবেশে নকল পুলিশ নয়, সত্যিকারের পুলিশ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের পোশাকে পুলিশই চোর ভূমিকায় এই কাজ করেছেন।
অভিযোগ দায়ের হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই গোটা তদন্তের কিনারা করে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই হাওড়া সিটি পুলিশের দুই কনস্টেবল সুরজিৎ সরকার এবং সমীরণ পাত্রকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ২ জনকে আটক করা হয়েছে। চুরি যাওয়া রুপোর গয়নাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সাধারণ নাগরিকদের পুলিশই নিরাপত্তা দেন। কেউ বিপদে পড়লে পুলিশের শরণাপন্ন হন, কিন্তু হাওড়ার এই ঘটনায় তৈরি হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ।