ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচার পর্ব শুরু থেকেই অগ্রণী ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। রোদ, বৃষ্টি সবেতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সেরেছেন তিনি। তবে গতকাল থেকেই উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের দায়িত্ব থেকে ফিরহাদ হাকিমকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি।
অভিযোগ, উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন ফিরহাদ হাকিম। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে উস্কানি দিচ্ছেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দিতে হবে প্রচার থেকে। আরও অভিযোগ, ভবানীপুর থেকে জিততে তৃণমূল কংগ্রেস সমাজবিরোধীদের জড়ো করা শুরু করেছে।
এবার এই ইস্যুতেই মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ভবানীপুর এলাকায় অনেক বুথে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ব্যবধান বেশ কম। তাই নন্দীগ্রামে লড়তে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পরাজিত হয়ে এখন আবার ভবানীপুরে ফিরে এসেছেন। পুরসভার প্রশাসক তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কীভাবে ছাপ্পা ভোট মেরে মমতাকে জেতানো যায় তার পরিকল্পনা শুরু করেছেন। তাই অবিলম্বে ভবানীপুরে ফিরহাদ হাকিমের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা যাতে জারি করা হয় তার আর্জি জানানো হয়েছে।"
যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, "নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন স্বতন্ত্র সাংবিধানিক সংস্থা। সেখানে আজগুবি অভিযোগের কোনও মূল্য নেই।’"
গতকাল একই সুরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমরা মানুষের দরবারে যাব। মানুষ ভোট দেবে। মানুষ জিতবে। কুৎসা করা গণতন্ত্র নয়। আমার বিরুদ্ধেও কুৎসা করেছিল। কুৎসা মানুষ গ্রহণ করেন না।"