ফের সেরার শিরোপা কলকাতার হাসপাতালের মুকুটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) তরফে প্রায় ৩৫০টি সংস্থাকে এদিন স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আর তার মধ্যেই উল্লেখযোগ্য স্থান গ্রহণ করেছে কলকাতার আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এর সঙ্গেই আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার’ ডাইরেক্টরি অফ ওয়ার্ল্ড পয়জন সেন্টারের অন্তর্ভুক্ত হল, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনস্থ।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার তৈরি করা হয়। এবার তা ‘পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার’ ডাইরেক্টরি অফ ওয়ার্ল্ড পয়জন সেন্টারের অন্তর্ভুক্ত হল, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনস্থ হল। এর ফলে আগামী দিনে পয়জন বা বিষ সংক্রান্ত কোনও গবেষণার ক্ষেত্রে ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ পয়জন সেন্টার থেকে সহায়তা মিলবে।
আজ সকালেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ইমেল করে আর জি কর হাসপাতালকে এই সুসংবাদ জানানো হয়। আরও বলা হয়েছে, ৩৫০ টি সংস্থাকে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে তারমধ্যে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ‘পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার’ একমাত্র নির্ভেজাল সরকারি হাসপাতাল।
আর জি কর হাসপাতালের পয়জন ইনফরমেশন সেন্টারের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সোমনাথ দাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বিষ কমাতে অ্যান্টিডোট তৈরি করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই সংস্থার থেকে যে তথ্য পাওয়া যাবে তাও যুক্ত হবে। পয়জন সংক্রান্ত যে কোনও গবেষণার ক্ষেত্রে ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ পয়জন সেন্টার থেকে সহায়তা মিলবে। আর জি কর হাসপাতালের পয়জন ইনফরমেশন সেন্টার থেকে যে তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে পাঠানো হবে তা বিশ্বের দরবারে প্রামাণ্য তথ্য হিসেবে স্বীকৃত হবে একটি উন্নতমানের তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে, ফলে আদতে অনেক সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।"