সবে তখন রাতের অন্ধকার কেটে ভোর হয়েছে, রাস্তার দু’ধারের দোকানপাট তখনও খোলেনি। এর মধ্যেই হঠাৎ বিকট শব্দে হতবাক এলাকাবাসী। ছুটে এসে তাঁরা দেখেন, উল্টে গিয়েছে একটি তেলের ট্যাঙ্কার। আর তার নীচে ঢুকে গিয়েছেন একটি মোটরবাইক-সহ তিন তরুণ। ট্যাঙ্কার থেকে তেল গড়িয়ে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা। হতবাক হয়ে স্থানীয়রাই খবর দেন পুলিশ। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ আসতেই ট্যাঙ্কারটি সরিয়ে তার নীচ থেকে তিন তরুণকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তিন জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে একবালপুর থানা এলাকার ময়ূরভঞ্জ রোডে। মৃতদের নাম মহম্মদ সমীর আহমেদ (২৩), মহম্মদ রাশিদুর রহমান (২০) এবং মহম্মদ আকিল (২০)। জানা গেছে, এই ঘটনার পরেই পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান ট্যাঙ্কারের চালক। এরপরেই উত্তেজিত বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। তাঁদের অভিযোগ, "ওই এলাকায় গভীর রাতে এবং ভোরের দিকে বেপরোয়া গতিতে ভারী গাড়ি চলাচল করে। চালকদের একাংশ কোনও নিয়ম মানেন না।"
শুধু তাই নয়, যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশি নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়েরা। এরপরেই এক পুলিশকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, "ওই এলাকায় নজরদারি থাকে। তা আরও কঠোর করা হবে।" অন্যদিকে পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তেলের ট্যাঙ্কারটি ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে তারাতলার দিকে যাচ্ছিল। ডায়মন্ড হারবার রোড এবং ময়ূরভঞ্জ রোডের মোড় থেকে গাড়ি ঘোরাতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। ইতিমধ্যেই, ট্যাঙ্কারের চালকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিকে তিন তরুণের অকাল মৃত্যুতে শোকাস্তব্ধ গোটা এলাকা।