ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল রবিবার। আচমকাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নন্দীগ্রাম (Nandigram) দফতরে হানা দিয়েছিল পুলিশ। এ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিলেন। এবার সেই বিষয়টি গড়াল এবার আইনি জটে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। ওয়ারেন্ট ছাড়া কীভাবে বিরোধী দলনেতার দফতরে তল্লাশি হল, এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন শুভেন্দু অধিকারী। মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে রবিবার আচমকাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দফতরে তল্লাশির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ বিজেপি নেতা মেঘনাদ পালের স্ত্রী মহুয়া পাল ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে তমলুক কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের নন্দীগ্রাম শাখায় গ্রুপ ডি কর্মী থেকে ম্যানেজার হয়েছেন। এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ মহুয়া পালকে বাড়িতে না পেয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দফতরে যায়। আর সেখানেই ওয়ারেন্ট ছাড়াই তল্লাশির অভিযোগ উঠেছে।
এই সংক্রান্ত একটি ভাইরাল ভিডিও-তে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, "কোনো পূর্ব সূচনা না দিয়ে, কোনো সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতিতে, আচমকা মমতা পুলিশ (পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ) আমার নন্দীগ্রামের বিধায়ক কার্যালয়ে অনধিকার প্রবেশ করে। মমতা সরকারের পুলিশের এই জঘন্য অপব্যবহার বিরোধী দলনেতার প্রতি এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।" এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। প্রশ্ন ওঠে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কীভাবে এই তল্লাশি সম্ভব? যদিও গোটা বিষয়টি এবার গড়াল আইনি মামলায়।