রাজ্যের পুজোর মরশুম না যেতেই বাড়ছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে আরও সচেতন হতে চাইছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব সমস্ত জেলা আধিকারিক এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সাধারণ মানুষদের সতর্ক করেছে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তাতেও হল না কাজ। এবার করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে আরও কড়া হচ্ছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই গড়িয়াহাট, হাতিবাগান এমনকি নিউ মার্কেট এলাকাতেও চোখে পড়েছে পুলিশি টহলদারি। চলছে মাইকিং। বারংবার বলা হচ্ছে মাস্ক পরার কথা।
![healthy food diet](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2021/05/23/photo-uploads/brooke-lark-jUPOXXRNdcA-unsplash.jpg)
![Rains বৃষ্টি](https://pori-prod.cdn.19xu.nl/photo-thumbnails/2022/08/20/flood-965092_1280.jpg)
জানা গেছে, মাস্ক না পরার জন্য নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। এক সংবাদমাধ্যমকে কলকাতা পুলিশের তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে নজরদারি জোরদার করেছি। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু। দুর্গা পুজোর জন্য নাইট কার্ফু ১০ দিনের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে তা আবার জারি করা হয়েছে এবং রাতে নাকা চেকিং কঠোর করা হয়েছে। বার ও রেস্তোরাঁ রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে বলা হয়েছে। গত ৪৮ ঘন্টায় মাস্ক না পরার জন্য ৮০০ জনেরও বেশি লোকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার মাস্ক না পরার জন্য ৪৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এবং সোমবার একই কারণে অন্তত ৪১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবারের স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড সংক্রমণ বেড়ে আড়াইশো হতে চলল কলকাতায়। রাজ্যে সংক্রমিত ৮০৫ জন। তবে একদিনে সর্বনিম্ন সংক্রমণ হয়েছে পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুরে এবং মালদায়। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ২২৯। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগণা। সেখানে একদিন ১৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।