করোনা (Corona) পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে গত মাসে গণপরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকলেও চলতি মাসে দৈনিক সংক্রমনের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে সরকার রাস্তায় বেসরকারি বাস (Private Bus) চালানোর অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু বাস মালিক সংগঠনের দাবি যে এই অতিমারী পরিস্থিতিতে হু হু করে বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। তাই তাদের পক্ষে পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো সম্ভব নয়। একপ্রস্থ রাজ্য সরকারের সাথে মিটিং এর পর সরকারিভাবে বাস ভাড়া বাড়েনি। কিন্তু নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ অনেক জায়গায় বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তবে এই অভিযোগ খবরের শিরোনামে আসতেই রাজ্য সরকার কড়া হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছে, "অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে সেই বাসের পারমিট বাতিল করে দেওয়া হবে।" অন্যদিকে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনড় বাস মালিক সংগঠনগুলি।
রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, "অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে যাত্রীরা সেই টিকিট দেখিয়ে থানায় অভিযোগ করতে পারেন। সত্যতা প্রমাণিত হলে সেই বাসের পারমিট বাতিল করে দেওয়া হবে।" এই প্রসঙ্গে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের যুগ্ম সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "বেশি ভাড়া কেউ নিতে চাইছে না। কিন্তু সরকার বর্ধিত ভাড়ায় বৈধতা দিতে চাইছে না কেন? গত বছরেও এমন হয়েছিল। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি ও যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধির ফলে মালিকরা বাস পরিষেবা দিতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছে।"
অন্যদিকে অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "বেশি ভাড়া নেওয়া অবশ্যই অপরাধ ও বেআইনি। কিন্তু বাস চালক বা কন্ডাক্টররা বেশি ভাড়া নিচ্ছেন ভিক্ষা হিসাবে। বাসের আয়ের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রাখছে সরকার। কিন্তু দিনের পর দিন পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।"