সমস্যা প্রকাশ্যে এসেছে দু-তিন বছর। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই জড়িয়েছিলেন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে। কিন্তু প্রকাশ্যে একথা স্বীকার করেননি কেউই। নিজেদের পরকীয়াকে বিশেষ বন্ধুত্বের আখ্যা দিয়ে এসেছেন কিছুদিন আগে অব্দি। এবার সেই বিবাহিত জীবনের ছুটি। আজ অর্থাৎ বুধবার, ৬ এপ্রিল বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় ও মনেজিৎ মন্ডলের মিউচ্যুয়াল ডিভোর্সের পক্ষে রায় দিল আলিপুর আদালত। এই দিন বিকেলে বিচ্ছেদের যাবতীয় নথি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতবছর সেপ্টেম্বরে স্বামী মনোজিতের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছিলেন বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়। সেইসময় থেকেই ডিভোর্স নেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকে সে। বৈশাখীর কথায়, "জোর করে কোনো সম্পর্ককে ধরে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।" বৈশাখী ভারাক্রান্ত মনে জানিয়েছিলেন, মনোজিৎ আর তাঁর প্রেমিকার একটি সন্তানও রয়েছে, তারা মাঝেমাঝেই বিদেশ ঘুরতে যান। এদিকে মনোজিৎও গোটা বিষয়টিকে অস্বীকার করেননি। কেবল বলেছিলেন, "ব্যক্তিগত জীবনের কৈফিয়ত তিনি দিতে চান না"। আর এর ফলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল গোটা বিষয়টি।
অন্যদিকে বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়ও কিছু কম যান না। তিন বছরেরও বেশী সময় ধরে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ বান্ধবী তিনি। এই বিশেষ ঘনিষ্ঠতা যে পরকীয়া তা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। ফলত, দুই পক্ষেরই কার্যত সুবিধা হল এই ডিভোর্সে। বিচ্ছেদের পর সন্তানের জন্য খোরপোষ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল মনোজিতকে। তবে বৈশাখী তা নিতে অস্বীকার করে জানান, "সন্তানের খরচ চালানোর মতো ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।"
এদিকে বান্ধবী বৈশাখীর ডিভোর্সের খবর শুনে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত শোভনবাবু। গদগদ মুখে তিনি বলেন, "বৈশাখীর সঙ্গে আমার পরিচয় দীর্ঘদিনের। তবে এই প্রথম ওঁকে মুক্তির স্বাদ পেতে দেখলাম।" এরপরই নিজের বিষয়ে বিলাপ করতে করতে বলে ওঠেন, "আমিও মুক্তির স্বাদ পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। আগেও বলেছি, এখনও বলছি। কোনো দায়িত্ব নিতে আমি পিছপা হই না।"