একদিকে দুর্নীতি, অপরদিকে নিয়োগ ঘিরে গড়িমসি - এসএসসির জোড়া ফলায় বিদ্ধ রাজ্য সরকার। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, নিয়োগের আশ্বাস পেলেও কেবল ঘোষণাই সার, কোন উদ্যোগ দেখতে পাননি চাকরিপ্রার্থীরা। এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে রীতিমতো ধুন্ধুমার কাণ্ড। জোর করে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে গিয়ে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠেছে।
শহিদ মিনারের সামনে শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছেন। তাঁদের অনশন আন্দোলন ৭০ দিনে পদার্পণ করল। অভিযোগ, গতকাল জোর করে পুলিশ গিয়ে তাঁদের তুলে দেয়। ৭৭ জনকে গ্রেফতার করে লালবাজারের লক আপে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই একটি চাঞ্চল্যকর খবর মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে।
সূত্র মারফত খবর, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ৭৭ জনের মধ্যে ৪ জন নাকি লালবাজারের বাথরুমে থাকা ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাঁদের চিকিৎসার জন্য নাকি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যদিও প্রশাসনের তরফে এ বিষয়ে কেউ মুখ খোলেননি। বিষয়টি কতটা সত্য তা-ও স্পষ্ট নয়।
ঘটনার খবর চাউর হতেই বৃহস্পতিবার রাতে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আহত চাকরিপ্রার্থীদের খোঁজ নিতে হাসপাতাল, থানায় পৌঁছে যান সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন। সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, হাসপাতালে গিয়ে অনেক খোঁজ করেও কোন সন্ধান মেলেনি। পুলিশ কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। এরপর তিনি লালবাজার চত্বরে পৌঁছে যান। সেখানেও কোন সদুত্তর না পেয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানা, ময়দান থানাতেও যান। যদিও কোথাও কোন উত্তর মেলেনি। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ৪ জনের ঘটনা কতটা সত্যি এখনও স্পষ্ট নয়।