প্রতীক্ষার অবসান। অনেক প্রতিকূলতা, জট, রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে অবশেষে শুরু হল শিয়ালদহ সল্টলেক মেট্রো পরিষেবা। আজ থেকেই খুলে গেল সাধারণ যাত্রীদের জন্য এই পরিষেবা। অফিস লেটের দিন শেষ। অফিসে যানজট, বাস নেই, নানা অজুহাত বলার দিন শেষ। মাত্র ২০ টাকায় ২১ মিনিটে পৌঁছে যান শিয়ালদহ টু সেক্টর ফাইভ। ন্যূনতম ভাড়া ১০। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেট্রোয় স্বল্প সময়ে পরিচ্ছন্ন জার্নি, বাঙালির আর কী চাই!
রাত থেকেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চান সকলেই। সকলেই প্রথম মেট্রো সফরের সঙ্গী হতে চান। আর বৃহস্পতিবারের সকালটা তো অন্যরকম। যাত্রীদের চোখে-মুখে উচ্ছ্বাস। মুখে 'আমরা করব জয়' গানের কলি। আনন্দ, মজা, একরাশ উৎসাহ নিয়ে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান। যেন স্বপ্নজয়ের আনন্দ।
মূলত প্রযুক্তির শহর সল্টলেক। আই টি সেক্টর থেকে সরকারি অফিস সবেতেই থাকে চোখে পড়ার মতো ভিড়। রোজ শিয়ালদহ থেকে বাস কিংবা অটো ঠেলে জার্নি। কিংবা ই-ট্যাক্সির বাড়তি খরচ। যানজট সঙ্গে আছে ট্রাফিক সিগন্যালের ঝক্কি। এসব এখন অতীত। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মাত্র ২১ মিনিটে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ। স্বপ্ন নয়, এটাই বাস্তব। মাত্র ২০ টাকায় আরামদায়ক জার্নি।
এদিন প্রথম মেট্রোয় উঠে মানুষের খুশির শেষ নেই। যাঁরা সদ্য চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের তো সোনায় সোহাগা। আর যাঁরা সদ্য চাকরি থেকে অবসর নিলেন, তাঁদের কাছে একরাশ হতাশা। ইস! একটু আগে হলে আমরাও এই সুবিধা পেতাম। আফশোষ এবং আনন্দ যেন মিলেমিশে একাকার। এদিন প্রথম যাত্রীদের হাতে মেট্রো রেলের তরফে তুলে দেওয়া হয় লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। হাতে হাত মিলিয়ে শুরু হয়ে গেল শিয়ালদহ সল্টলেক মেট্রো সফর।