বছর কয়েক আগেও তিনি নাকি রঙের মিস্ত্রির কাজ করতেন। থাকতেন টালির ঘরে। আচমকাই রকেট গতিতে উত্থান। শহর কলকাতায় ৮ থেকে ১০ টি ফ্ল্যাট, নিউটাউনে ভিলা, বাংলো, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হোটেল, রিসর্ট, চা বাগান কী নেই! বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। রাতারাতি ভোলবদল অবাক করেছিল সকলকেই।
খাতায়-কলমে তিনি নাকি পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এদিকে গোয়েন্দাদের অনুমান, তিনি নিয়োগ দুর্নীতিতে 'মিডলম্যান'-এর কাজ করতেন। বিভিন্ন জেলায় তাঁর অন্তত ৫০ জন এজেন্ট ছিল। যাদের হাত ধরে সরাসরি টাকা আসত। সেই টাকার থেকে নিজের বখরাটুকু নিয়ে তিনি পৌঁছে দিতেন উপর মহলে। সরাসরি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। দুর্নীতির টাকা সরাসরি পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে।
তিনি দুর্নীতির 'মিডলম্যান' প্রসন্ন রায়। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল বলছে, প্রসন্ন কুমার রায়। তিনি নাকি ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাগল কমিটি চিফ ফিনানশিয়াল অ্যাডভাইসর। এখানেই শেষ নয়, তাঁর সঙ্গে কয়েকজন বিজেপি নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথা বলা হচ্ছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্য, অপর দিকে বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বৃহস্পতিবার এই প্রসন্ন রায়কে সিবিআই নোটিশ পাঠায়। শুক্রবার নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের সময় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর থেকে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বছর কয়েক আগে যে লোকটা সামান্য রঙের মিস্ত্রির কাজ করতেন, তিনিই নাকি বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশ-বিদেশে। কী করে সম্ভব জানেন না নিজের পরিবারের লোকজনও।