কেন্দ্রের মোদী সরকারের জমানায় উত্তরোত্তর বাড়তে বাড়তে রেকর্ড মূল্য ছাপিয়ে গেছে পেট্রল-ডিজেল। এর প্রভাব পড়েছে গৃহস্থালী থেকে শিল্প-কারখানা ও যানবাহন, সর্বস্তরের জনজীবনে। তাই এবার দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম বা SBSTC’র তত্ত্বাবধানে ডুয়েল ফুয়েলে বাস চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু এই ডুয়েল ফুয়েল কি জিনিস? পরিবহন দফতরের কর্তাদের মতে কিছুটা ডিজেল ও কিছুটা সিএনজির সংমিশ্রণে চালানো হবে বাস। এতে খরচ কমবে, কমবে দূষণ আর ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে বারবার আন্দোলনে সামিলও হতে হবেনা বাসমালিকদের।
ইতিমধ্যেই বেলঘরিয়ার ডিপোয় একটি বাসকে ডুয়েল ফুয়েলে চালানো হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে সবকিছু খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে আদৌ এই পন্থা কার্যকর হবে কিনা। সাফল্য পেলে সরকারি ও বেসরকারি, সমস্ত বাসের ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতি আরোপ করা হবে। কসবা ডিপোতেও একইভাবে এসবিএসটিসির একটি এবং পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের দু’টি পুরনো বাসকে CNG-তে বদল করার কাজ চলছে। সাধারণ বাসে যে দূরত্ব যেতে হাজার টাকা খরচ হয়, ডুয়েল ফুয়েলে চালানো বাসে তা সাতশো টাকা খরচেই সম্ভব। পরিবহন দপ্তর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, সাধারণ ডিজেল চালিত বাসের ইঞ্জিনকে ডুয়েল ফুয়েলের উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়বে দেড় লক্ষ টাকা।
কিভাবে কাজ করবে এই নতুন ইঞ্চিন? বাসের মধ্যে একটা ডুয়েল ফুয়েল কিট লাগানো হবে যার সঙ্গে একটা CNG ট্যাংকও থাকবে। ট্যাংক থেকে পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস ও ডিজেল দুটোই আসবে ওই ফুয়েল কিটে।৬০ শতাংশ ডিজেল ৪০ শতাংশ CNG-র মিশ্রণে তৈরি হবে নতুন জ্বালানি। জ্বালানির অগ্নিমূল্য থেকে বাঁচতে এই নতুন উপায়কে কাজে লাগাতেই হবে, মনে করছেন পরিবহন দপ্তরের কর্তারা। এসবিএসটিসির উদ্যোগে ইতিমধ্যেই ৬০ টি সিএনজি চালিত বাস চলছে আসানসোল-দুর্গাপুরে।