রাজ্য সরকারের বহু প্রতীক্ষার এক প্রকল্প, নাম 'দুয়ারে রেশন'। এই প্রকল্প প্রথম দিকে বেশ ভালো চললেও, পরবর্তীতে রাজ্যের বিপরীতে কথা বলতে শুরু করে রেশন ডিলারদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে চাইছেন না। কারণ, এই প্রকল্প খুব ব্যয়বহুল এবং রাজ্যের এই প্রকল্প মতোন কাজ করতে গেলে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ও কর্মচারী প্রয়োজন, তা অধিকাংশ রেশন ডিলারদের কাছে নেই। তবে এসব কথাকে 'অজুহাত' বলে চালিয়ে রাজ্য সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, দুয়ারে রেশন পাইলট প্রজেক্টে অংশ না নিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল রাজ্য।
এরপরেই রাজ্য সরকার ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরুর নির্দেশ দিতেই এই প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কিছু রেশন ডিলাররা। কিন্তু সেই শুনানিতেও ধাক্কা খেলেন ডিলাররা। বিজ্ঞপ্তি বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। যার জেরে আপাতত স্বস্তিতে রাজ্য।
এদিন রেশন ডিলারদের আবেদন খারিজ করে, আদালতের সাফ বক্তব্য, "রাজ্য কি কোনোরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে?” এর উত্তর দিতে পারেনি রেশন ডিলাররা। এরপরই বিচারপতি স্পষ্ট করে বলেন, "রাজ্য যখন কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি, তাহলে আদালত কেন আগাম পদক্ষেপ নেবে? রাজ্য সরকার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতেই পারে। তবে কী ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে রাজ্যের তরফে, তা দেখে তবেই আদালত ব্যবস্থা নেবে।”
বলাবাহুল্য, আজ কার্যত মুখ পুড়েছে রেশন ডিলারদের। যদিও হাইকোর্টে ডিলারদের বক্তব্য ছিল, "রাজ্য সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্প কেন্দ্রীয় রেশন বণ্টন আইনের পরিপন্থী।"