বগটুই কান্ডে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিল। তদন্তের স্বার্থে রাজ্য সরকারের গঠিত সিট (SIT) আর কোন তদন্ত করতে পারবে না। তবে হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করতে হবে দোষীদের।
এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। শুনানির সময় একাধিক রিপোর্ট উঠে এসেছে। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ ঘটনার দিন কারা উপস্থিত ছিলেন, কাদের মোবাইল ফোন সক্রিয় ছিল সবটা তদন্ত করতে হবে। এমনকী ঘটনার এফআইআর (FIR) কপি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। আদালতের নির্দেশ ন্যায়বিচারের স্বার্থে এবং সাধারণ মানুষের উপর বিচার ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে যাতে কোন প্রশ্ন না ওঠে, তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রামপুরহাটের (Rampurhat) এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। আর তারপর থেকেই গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে থাকে। তারপরেই রাতের অন্ধকারে বগটুই (Bogtui) গ্রামের ১০ টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় শিশু, মহিলা-সহ অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। বিরোধীদের অভিযোগ মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। ঘটনার পর ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়তেই থাকে। হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করে। রাজ্যের তরফে গঠিত হয় সিট। আর তার প্রেক্ষিতেই আজ কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল।
মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ এপ্রিল। ওই দিন সিবিআইকে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর রাজ্য সরকারের সিট আর কোন তদন্ত করতে পারবে না। তার পাশাপাশি সিবিআইকে রাজ্যের তরফে সব ধরণের সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।