আনলক ২- এর মাঝে হঠাৎই থিয়েটারে ব্যস্ত হয়ে উঠলো রবীন্দ্রভারতী। বাংলা থিয়েটারের প্রায় সকলেই এখন রবীন্দ্রভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসমুখী। কি হলো হঠাৎ? প্রতি বছরই নাট্যদল গুলিকে নিজেদের বার্ষিক কাজের খতিয়ান পাঠাতে হয় ভারত সরকারের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে।
নিজেদের কাজের সব লিখিত খতিয়ানে সই থাকতে হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের। সেটা কখনও নবান্ন, কখনও বা ইজেডসিসি - র বিশেষ মানুষদের সই। কিন্তু করোনা প্রবাহে ইজেডসিসি বা নবান্নে অনুমতি পাওয়াটাও দুষ্কর এ সময়ে। এদিকে আবার সব কাগজ পাঠানোর শেষ দিন ১৭ আগস্ট। ফলে উপায় খুঁজে পাওয়া গেল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে রাজ্য সঙ্গীত নাটক নৃত্য দৃশ্য কলা একাডেমির ডিরেক্টর হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায় এবার সহায় । যে সইয়ের উপর দলগুলোর পরের বছর আবার সরকারের থেকে টাকা পাওয়ার নির্ভরশীল সেই সই এখন শুধুই জোড়াসাঁকোতে। ফলে বাংলা থিয়েটারের তামাম ব্যক্তিত্বরা এখন রবীন্দ্রভারতী মুখী। আর বলে রাখা ভালো, খুবই আন্তরিকতার সাথে সকলের সাহায্যে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন হৈমন্তী দেবী ও রাজ্য আকাদেমী।