নারদ মামলায় (Narada Case) রাজ্যের চার হেভিওয়েটের গ্রেফতার নিয়ে সরগরম রাজনীতির আঙিনা। গত সোমবার নারদ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক সহ মোট চারজন। গ্রেফতার হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজাম প্যালেসের সামনে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ভীড় উপছে ওঠে। একাধিক জায়গায় চলে বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ। আর সেই ক্ষোভের আঁচ দেখা গিয়েছিল রাজভবনের সামনেও। গতকাল তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar, Governor)। রাজভবনের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে রাজভবনের সামনে অশান্তি হয়, পুলিশ কমিশনারের কাছে সেই জবাবও তলব করেছিলেন তিনি।
রাজ্যপালের দাবি ছিল, 'সোমবারের ঘটনা থেকেও শিক্ষা নেয়নি পুলিশ। মঙ্গলবার হাফ ডজন ভেড়া নিয়ে এক ব্যক্তি নর্থ গেটের সামনেটা আটকে দেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি ছবির জন্য পোজ দিতে শুরু করেন। পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে এই নাটক দেখল। কী তার পরিচয়, তার হাতে অস্ত্র ছিল কিনা সেটা না দেখেই তাকে ওই জায়গা থেকে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হল।' উল্লেখ্য, গ্রেফতারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে রাজভবনের সামনে একপাল ভেড়া নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে ‘সিটিজেন এগেনস্ট ডার্টি পলিটিক্স অ্যান্ড কর্পোরেশন’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেন। রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার এই নিয়েই ওই ঘটনার দু’দিন পর ওই বিক্ষোভকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হল।
সূত্রের খবর, ওই প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় মহামারী এবং করোনা বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারাতেও মামলা রুজু হয়েছে।