হাতে বাকি আর মাত্র কিছুক্ষণ। রাত পেরোলেই স্কুলে ছুটবে কচি-কাচার দল। সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা নয়া নির্দেশিকাতে রাজ্যের প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে (Primary School Reopening)। কাজেই, তুঙ্গে স্কুল খোলার প্রস্তুতি। অন্যদিকে, দীর্ঘ দু'বছর ধরে বন্ধ প্রাইমারি স্কুল। ফলে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ঠিকভাবে হয়নি অনেক জায়গাতেই। তবে এসব শুনতে নারাজ বিকাশ ভবন। কোন স্কুলের কী অবস্থা? কতটা পরিষ্কার করা হয়েছে স্কুলগুলি? স্যানিটাইজেশনের কাজও বা কতদূর এগোল? কোভিড-বিধি মানতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে স্কুলগুলি? সমস্ত কিছুর রিপোর্ট আজ বিকেলে জমা পড়ল বিকাশ ভবনে।
সূত্রের খবর, স্কুলগুলির প্রাথমিক মেরামতির কাজের জন্য সরাসরি কম্পোজিট গ্রান্টের তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় টাকা অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাচ্ছে স্কুলগুলি। বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, "প্রাথমিক পর্যায়ে স্কুলগুলির ক্ষয়ক্ষতি মেরামতির জন্য কম্পোজিট গ্রান্টের টাকা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।"
বলাবাহুল্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আগামিকাল থেকেই যেন প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলি খোলা যায়, সে বিষয়ে তৎপর বিকাশ ভবন। সে কারণে দফায় দফায় চলছে ভিডিও কনফারেন্স। ছোট ছোট করে একদফা বৈঠকও হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, বড়দের জন্য স্কুল আগেই খুলে গিয়েছিল। সেই সঙ্গে ছোটদের জন্য স্কুলের বদলে চলছিল পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্প। কিন্তু তাতে বেশ কিছু সমস্যার দিকও উঠে আসছিল। অভিভাবক অভিভাবিকাদেরও একটি বড় অংশ দাবি করছিল, পাড়ায় শিক্ষালয় নয়। যদি স্কুল চালু করতেই হয়, তবে তা ক্লাসরুমেই চালু হোক পড়াশোনা। এই পরিস্থিততে, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের সব প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুল খোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় নবান্ন। সূত্রের খবর, শুধু প্রাইমারি নয়, আপার প্রাইমারি ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গুলিও খুলে দেওয়া হচ্ছে।