কর্পোরেট জায়েন্ট সুবীর চাকি এবং তার গাড়িচালক রবিন মন্ডলকে খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করলেন ভিকির দুই সঙ্গী বাপি মন্ডল এবং জাহির গাজী। শুক্রবার বিকেলে জাহির এবং বাপিকে কলকাতা পুলিশের লালবাজার শাখার গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেছে। এই মামলায় এর আগে গ্রেফতার হয়েছিল এই বাড়ি পরিচারিকা মিঠু হালদার। তারপর এই দু জনকে মিলিয়ে সর্বমোট তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
জানা যাচ্ছে আগামী শনিবার আদালতে তোলা হবে এই দুইজনকে। গড়িয়াহাটে জীবনের অন্যতম মূল চক্রি মিঠু হালদার ধরা পড়ার পড়ে এরা দুজন গা ঢাকা দিয়েছিল। তারপরে শুক্রবার সকালে সুন্দরবন থেকে তাদের দু'জনকে আটক করা হয়। এরপর তাদেরকে লালবাজার থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং সেখানে টানা ৬ ঘন্টা ম্যারাথন জেরা করার পরে তার অপরাধের কথা কবুল করেছে। কিন্তু এখন তদন্তকারীদের মূল প্রশ্ন হচ্ছে ভিকি কোথায় রয়েছে? পুলিশ জানিয়েছে, মিঠু হালদার মোটা টাকা টোপ নিয়ে তাদের দুজনকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন। মিঠুকে জেরা করার পরে তার বড় ছেলে ভিকির দুই সঙ্গীর নাম জানা গিয়েছিল।
তারপর এই লালবাজারে তরফ থেকে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয় আরো তৎপর ভাবে। বাপির বাড়ি ডায়মন্ড হারবারে রামপুরে এবং তার স্ত্রী বন্দনা পরিচারিকার কাজ করেন। সেই সূত্রে বন্দনা সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল মিঠুর। পুজোর আগে বাপিকে কলকাতায় মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে নিয়ে আসে মিঠু হালদার। এই একই ভাবে কলকাতায় আসে জাহির গাজী। পুলিশের জেলায় ধৃত দুই জন স্বীকার করে নিয়েছেন, তার অপরাধের ঘটনা সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত। মিঠু হালদার পুলিশের জালে ধরা পড়ার পরেই দুজন এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছিলেন। সুন্দরবনের বাপির দিদির বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন তারা। সেখান থেকেই শুক্রবার ভোরে সুন্দরবন পুলিশের সহযোগিতায় দুজনকে আটক করে কলকাতা পুলিশ। তারপরে তাদেরকে কলকাতায় নিয়ে এসেছে জেরা করে লালবাজার।