আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ঠাঁই আলিপুর মহিলা জেল। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায় একরাত কাটিয়ে ফেললেন প্রেসিডেন্সি জেলের ‘পয়লা বাইশ’ সেল ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেলে। কেমন কাটলো প্রথম রাত? কাদের সঙ্গেই-বা তাঁদের রাত্রিযাপন?
সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে ওয়ার্ডে জেলবন্দী, সেই একই ওয়ার্ডে পাশের সেলে বন্দী আছেন আর এক তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো। যিনি আবার রাজধানী এক্সপ্রেস হামলা মামলায় অভিযুক্ত। এখানেই শেষ নয়, কয়েকজন কুখ্যাত মাওবাদী নেতার সঙ্গেই রাত কাটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন আদালতের রায় ঘোষণার পরেই তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু হয়। ইডি-র হেফাজতে থাকাকালীন জামাকাপড়, ওষুধপত্র জেল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সেলে ঢোকার আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি বলেছিলেন, "এখানে কীভাবে থাকব?" রাতে থাকার জন্য দেওয়া হয় জেলের বরাদ্দ চারটি কম্বল। মেঝেতে পেতে শুতে হবে। থাকবে না কোন বালিশ। চাইলে সেই কম্বলকে বালিশ বানিয়ে শুতে পারে যেকোন কয়েদী।
প্রথম দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খাবারের জন্য বরাদ্দ ছিল রুটি আর সব্জির তরকারি। সেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত রক্ষীর ব্যবস্থা হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে আলিপুর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। তার জন্যও অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাঁকে খাবার ও জল পরীক্ষা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে 'অপা'-র জেলবন্দী জীবনের প্রথম রাত ঘিরে সাধারণ মানুষের ঔৎসুক্যের শেষ নেই।