নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা গেছে ভিন্ রাজ্যেও। বিনিয়োগ করা হয়েছে দক্ষিণ ভারতের একাধিক জায়গায়। তদন্তে এমনটাই দাবি করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে এমনই কয়েকটি জমি, বাড়ি, বাংলো, ফ্ল্যাট, রিসর্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে এমন সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
কীভাবে সেখানে সম্পত্তি কেনা হল? ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন কর্মস্থলের একজন ফিনান্স অফিসার এই কাজে সাহায্য করেছেন। যিনি নাকি বর্তমানে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। একাধিক জায়গায় জমি, বাড়ি, বাংলো, ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে। অনেকগুলো পার্থ এবং অর্পিতার নামে। তবে বেশিরভাগ বেনামে। এমনকী ওখানকার রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ও নাকি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। এত বিপুল অঙ্কের টাকা হাওলার মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল।
ইডি-র তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। টাকার বিনিময়ে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি হত। বেঙ্গালুরু থেকে মাঝে মাঝেই লোকজন নাকি কলিকাতায় আসতেন। দেখা করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এমন তথ্যও জানা গেছে। অন্যদিকে, ব্যাঙ্ক কর্মীদের কাজে লাগিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা ট্রান্সফার হত বলেও খবর। এমন দু'জন ব্যাঙ্ক কর্মীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যাঁরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়ি থেকে সামান্য দূরত্বে থাকতেন।
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৫০ কোটি টাকার বেশি। পাশাপাশি একাধিক ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি, গয়না, জমির কাগজ, বাংলোর কথা জানিয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা। এগুলোর একটা বড় অংশ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। একজন সামান্য মডেল হয়ে এত টাকা কীভাবে তিনি পেলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এরমধ্যেই এই নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আনল ইডি।