কোভিড (Covid-19) পরিস্থিতির জেরে গত প্রায় দেড় বছরের বেশি বন্ধ স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। গত ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খুললেও ফের তা বন্ধ হয়ে যায়। অনেক টালবাহানার পর অবশেষে আগামীকাল থেকেই খুলছে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে স্কুলের ক্ষেত্রে সব ক্লাস নয়। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে, তবে তা একটি নির্দিষ্ট সিডিউল অনুযায়ী। আর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তো অফলাইন ক্লাসের পাশাপাশি চালু থাকবে অনলাইন ক্লাসও। স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ ছাড়া বাকি শ্রেণির ক্লাস কবে? এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Bosu) গোটা বিষয়টি পরিষ্কার করে দিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন আশ্বাস দেন, শুধু নবম থেকে দ্বাদশ নয়, ধাপে ধাপে সমস্ত ক্লাসই খুলে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। তিনি বলেন, জীবনের মূলস্রোতে ছাত্র-ছাত্রীদের ফিরিয়ে আনা এই মুহূর্তে অত্যন্ত কঠিন কাজ। তাড়াহুড়ো নয়, ধাপে ধাপে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। আমরা এখন নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস খুলছি, খুব শীঘ্রই বাকি ক্লাসগুলোও খুলে দেওয়া হবে। সরকারের সমস্ত ক্লাস খুলে দেওয়ার যে পরিকল্পনা আছে, শিক্ষামন্ত্রীর এদিনের কথায় তা স্পষ্ট। তবে এতদিন স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর হঠাৎ-ই সবকিছু স্বাভাবিক হলে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্তরে নানা প্রভাব পড়তে পারে। সেদিকটিও খেয়াল রাখছে সরকার। তাই তাড়াহুড়ো নয়, ধাপে ধাপে খুলবে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক সমাজ। এতদিন পড়াশোনার কাজ অনলাইন নির্ভর ছিল। তবে গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়ারা অনলাইনে কতটা পড়াশোনার কাজ করতে পেরেছে তা-ও দেখার বিষয়। পাশাপাশি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের মিড ডে মিল দেওয়া হত। কোভিড পরিস্থিতির জেরে তা বন্ধ। তার বদলে অভিভাবকদের দেওয়া হয় মিড ডে মিল সামগ্রী। এমন অবস্থায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের শরীরের পুষ্টিগুণ কতটা রয়েছে, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে ধাপে ধাপে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে খুলে দেওয়া প্রয়োজন, একথা সমাজের সর্বস্তরের মানুষ স্বীকার করেছেন।