ইতিমধ্যেই কলকাতার ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। ৬৩.৫ লক্ষ এর বেশি মানুষের প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে এবং ১৯.৪ লক্ষ মানুষ দুটি ডোজ গ্রহণ করে ফেলেছেন। কিন্তু কলকাতায় সর্ব মোট জনসংখ্যায় যেখানে ৩২.৪ লক্ষ সেখানে ৬৩.৫ লক্ষ মানুষের ভ্যাকসিনেশন হয়েছে, সেটা অত্যন্ত বিরক্তিকর ব্যাপার কলকাতার জন্য। বোঝাই যাচ্ছে এই শহরের বাইরের বহু মানুষ কলকাতা থেকে ভ্যাক্সিনেশন গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যেই ৭ কোটির মধ্যে ৪.৭ কোটি মানুষের প্রথম ডোজ গ্রহণ করা হয়েছে বাংলায়। বাংলার ভ্যাকসিনেশন ৬৭.৫% হারে চলছে। কিন্তু কলকাতায় এই হার প্রায় সর্বমোট জনসংখ্যা থেকেও বেশি, প্রায় দ্বিগুণ। এই সংখ্যাটা রীতিমতো আশ্চর্যজনক।
আর এই অবস্থায় কলকাতার স্বাস্থ্য আধিকারিক রা এই নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। বিভিন্ন জায়গায় কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন বিভিন্ন ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ আয়োজন করেছিল। সেই সমস্ত ক্যাম্পে প্রচুর মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। যারা যারা কলকাতায় কাজের জন্য এসেছিলেন, যারা কলকাতায় চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন সবার ভ্যাকসিনেশন কলকাতা থেকে হয়েছে। এছাড়াও কলকাতায় ভোট থাকার কারণে বহু সংখ্যক সেন্ট্রাল পুলিশ ফোর্স কলকাতায় এসেছিল। তারাও সেখান থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। যারা স্বাস্থ্য কর্মী এবং কলকাতার বাসিন্দা না, যারা কাজের জন্য আসছেন বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নিয়ে আসছেন সবাই কলকাতা থেকেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করছেন।
তাদের কিছু কিছু মানুষ তো দ্বিতীয় ডোজ পর্যন্ত কলকাতায় নিয়েছেন। আর এই নিয়ে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এর চেয়ার্ম্যান ফিরহাদ হাকিম বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলছেন, 'কলকাতায় বহু বাইরে থেকে আসা মানুষ আছেন। যারা দিনের বেলা আসেন এবং রাতে বাড়িতে ফিরে যান। এই শহর যতটা আমার ততটাই কিন্তু অন্যদের। আমরা কারো বাড়ি নিয়ে বা থাকার জায়গা নিয়ে কোনো বিতর্ক করিনা। আমরা এতদিন যারা এসেছেন, তাদের সকলের ভ্যাকসিন দিয়েছি। আমরা মনে করি তারা এই রাজ্যের বাসিন্দা, তাই তাদের ভ্যাকসিন পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু এবারে একটু সমস্যা হচ্ছে।'
এই কারণেই এবারে কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এর তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেহেতু কলকাতায় ভ্যাকসিনের পরিমাণ আস্তে আস্তে কমছে, তাই কলকাতার বাইরের কাউকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবেনা। তারা নিজেদের জেলায় ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।