যুবকের নাম শান্তনু নস্কর, বাড়ি সোনারপুরের নাটাগাছি এলাকায়। মৃতদেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছায়নি। তবে পাটনা থানা থেকে মৃতের পরিবারকে জানানো হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে শান্তনু, তবে সেকথা মানতে নারাজ মৃতের পরিবার।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০শে জুলাই এক ঠিকাদার শান্তনুকে মুকুন্দপুরে রঙের কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে যান। কিন্তু তারপর শান্তনু বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়েন আত্মীয়-পরিজনেরা। দুইদিন পর শান্তনু বাড়িতে ফোন করে জানান, তিনি পাটনায় চলে গিয়েছেন এবং সেখানেই কাজ করছেন ও চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন। এর এক সপ্তাহ পর অর্থ্যাৎ ২৮ শে জুলাই পাটনা থেকে খবর আসে তিনি মারা গেছেন। এই খবর শুনে শোকে ভেঙে পড়েন শান্তনুর পরিবার। থানা থেকে দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় যুবকের ঠিকানায়।
পরিবারের সূত্রে খবর শান্তনুকে যে ঠিকাদার নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি বেপাত্তা। এমনকি শান্তনুর সঙ্গী হিসেবে কলকাতা থেকে যে আরো চার-পাঁচজন যুবক গিয়েছিল তাদেরও হদিস নেই। পরিবারের অভিযোগ শান্তনুকে খুন করা হয়েছে। তার বুকে ও চোখের পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে এই কথা মৃত যুবকের পরিবার মানতে নারাজ।
মৃত যুবকের বাড়ির লোকজনেরা সোনারপুর থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানার তরফে জানানো হয়, আপাতত এই কেস পাটনা থানায় আছে। সেখানে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু করা সম্ভব নয়। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাটনা থেকে সোনারপুর থানায় পাঠানো হলে, মৃত যুবকের পরিবারকে যাবতীয় সাহায্য করা হবে বলে সোনারপুর থানা সূত্রে বলা হয়েছে।