অনেকেই পরিহাসচ্ছলে বলেন, "মৃত্যুর আগে দেখে যেতে পারব তো?" আবার অনেকের সটান যুক্তি, "তুমি না পার তোমার নাতি-নাতনিরা দেখে যেতে পারবে!" হ্যাঁ, কথা হচ্ছে জোকা-বিবাদিবাগ মেট্রো নিয়ে! সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী এক বছরের মধ্যেই চলবে জোকা-বিবাদিবাগ মেট্রো পরিষেবা। তবে প্রথম পর্যায়ে জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে বলে সূত্রের খবর। মাঝেরহাট থেকে বাকি স্টেশন গুলি এখনও জমিজটে আটকে। তাই সেগুলোর কাজ স্বাভাবিক নিয়মে চললেও জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত মেট্রোরেলের কাজ প্রায় শেষ। তাই এ পর্যন্ত মেট্রো চালাতে কোন অসুবিধা নেই বলে জানা গেছে।
২০০৯ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় এই মেট্রোরেল প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। তবে কাজের শুরুতেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় জমিজট এবং আইনি জটিলতা। দীর্ঘ ১৩ বছর পর ধীরে ধীরে এই প্রকল্পের কাজে গতি আসে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী এক বছরের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে শুরুতেই জোকা থেকে বিবাদিবাগ নয়, চলবে জোকা থেকে মাঝেরহাট। বেহালাবাসীর কাছে এ এক দারুণ বিষয় বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এরমধ্যে মাঝেরহাট মেট্রো স্টেশনের পর থেকেই জমিজট এখনও অব্যাহত। সেনার অনুমতি না মেলায় নিয়মের বেড়াজালে আটকে পড়েছে এই প্রকল্প। খনন কাজ শুরু করতে পারছে না বলে আগেই অভিযোগ করেছিল এই প্রকল্পের নিয়ামক সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। যা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সেনাকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি। সেদিন আদালত সেনার কথা শুনবে বলে জানা গেছে।