সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথকে গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা। আজ রবীন্দ্রসদনে তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। সকালেই মুম্বই থেকে এসে পৌঁছেছে স্ত্রী ও ছেলে।। এসএসকেএমে ময়নাতদন্তের পর রবীন্দ্রসদনে শিল্পীর মরদেহ নিয়ে গিয়ে দেওয়া হল গান স্যালুট। এদিন সকালে বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী গান স্যালুট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, "কেকে-র স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে দমদম বিমানবন্দরে এসে শ্রদ্ধা জানাব।" তবে কলকাতা ফিরে মত পরিবর্তন করেন তিনি। ঘোষনা করেন রবীন্দ্রসদনে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে কিংবদন্তি শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথকে।
সেইমতো আজ দুপুরে রবীন্দ্রসদনে কফিনবন্দী দেহ আসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে মাল্যদান করেন। এরপর মালা দেন কেকে-র স্ত্রী এবং ছেলে। স্ত্রীয়ের হাত ধরে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী। সূত্রের খবর, গানস্যালুট দেওয়ার পর আজ বিকেলেই শিল্পীর দেহ নিয়ে মুম্বই পাড়ি দেবে পরিবার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল নজরুল মঞ্চে স্যার গুরুদাস কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠানে এসে গান গাওয়ার সময় অসুস্থ বোধ করেন কে কে। সূত্রের খবর, দু'হাজারি অডিটোরিয়াম ভরেছিল সাত হাজার লোকে। বন্ধ ছিল এসি। অনুষ্ঠানের সময় স্পট লাইট অফ করতে বলেছিলেন গায়ক। অনুষ্ঠান-বিরতিতে ব্যাক স্টেজে বিশ্রামও নেন তিনি। ঘনঘন জল খাচ্ছিলেন, তোয়ালে দিয়ে ঘাম মুছছিলেন অনবরত। বলেছিলেন, তার পিঠ পুড়ে যাচ্ছে। প্রোগ্রাম শেষে গাড়িতে করে ওবেরয় গ্র্যান্ড হোটেলে ফেরার পথে জানিয়েছিলেন শীত করছে তাঁর। সম্ভবত মাংশপেশীতে খিঁচুনিও ধরেছিল। হোটেলে ফিরে সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান, চোট লাগে কপালে। সেখান থেকে CMRI হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কেকে-র কপাল ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এসএসকেএমে দেহের ময়নাতদন্ত হয়।