গতকালই নির্বাচন কমিশন ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন। আর তার পর থেকেই সেখানে তৃণমূলের তরফে জোরকদমে শুরু হয়েছে প্রচার-প্রস্তুতি। কারন, প্রার্থী আর কেউ নয়! ঘরের মেয়ে আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই প্রচারে উৎসাহ বাড়াতে এগিয়ে এলেন খোদ ‘মুখ্যমন্ত্রী’ প্রার্থী। রবিবার দেওয়াল লিখন চলাকালীন পাস দিয়ে যাওয়ার সময় থামালেন গাড়ি। কর্মীদের জোগালেন উৎসাহ। পরামর্শ দিলেন সাবধানে কাজ করার।
উল্লেখ্য, ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হতেই মদন মিত্রের নেতৃত্বে সেখানে শুরু হয়েছে প্রচারকাজ। দেওয়াল লিখনে হাত লাগিয়েছেন খোদ মদন। রবিবারও দুপুরেও কলকাতা পুরসভার ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে, ডিএল খান রোডে চলছিল সেই কাজই। সওয়া তিনটে নাগাদ সেই রাস্তা দিয়েই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের উদ্বোধনে যাচ্ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। দলীয় কর্মীদের দেওয়াল লিখতে দেখে কনভয় থামান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে গাড়ির বাইরে ভিড় জমান অনুরাগী, সমর্থকরা। তাঁদের সাথে কথা বলেন ‘দিদি’। প্রচারের বিষয়ে উৎসাহ দেন। যাওয়ার সময় বলে যান, ‘সাবধানে কাজ করো’। নেত্রীর আচরণে আপ্লুত অনুরাগীরা।
৩০ তারিখ ভবানীপুর কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন। ২রা মে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে হারের পরেই তাঁর ঘরের কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে পুনঃপ্রতিদ্বন্ধিতার জল্পনা শুরু হয়েছিল। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করে জল্পনায় সিলমোহর দেন জয়ী বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গতকালই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদির চিঠির পর ৩০শে সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। আর তার পর থেকেই তুঙ্গে শাসকদলের প্রস্তুতি। যদিও দিন ঘোষণার পরই নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।