সোমবার মেয়ো রোডের সমাবেশ থেকেই মাননীয়া সন্দেহপ্রকাশ করেছিলেন, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বক্তৃতার পর তাকে ইডি তলব করতে পারে। জনগনকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি থেকে সম্পত্তির খোঁজ মিললে তা যেন বিশ্বাস না করা হয়। আর আজ, নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি সরাসরি জানিয়ে দিলেন, যদি কালিঘাটে তার পরিবারে কোনো নোটিস আসে তবে তিনি আইনি পথেই পুরো মামলা দেখে নেবেন। আত্মবিশ্বাসী সুরে বলেন, তিনি এইসব নোটিসকে ভয় পাননা।
বিগত কয়েক বছরে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তিবৃদ্ধি হয়েছে, এই মর্মে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে সোমবার। এবার তার পরিপ্রেক্ষিতেই সিপিআইএম সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "আমার পরিবারকে নোটিস করলে আমি ভীত নই, সন্ত্রস্ত নই। আমি আমার মতো আইনত লড়ব। যদিও এখন আইনত লড়া খুব কঠিন। এই জায়গাটাতেও বিজেপির হস্তক্ষেপ বেশি হচ্ছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, কোথাও না কোথাও এর বিচার হবে। অন্তত মানুষের আদালতে এর বিচার আমি পাব। আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।"
মাননীয়াকে সততার প্রতীক হিসেবেই বরাবর দেখে এসেছে দল। সেই ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন, "আমি আজ ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব দিলাম। আমার জানা নেই, যদি আপনারা তদন্ত করে দেখেন এই ধরনের কোনও সরকারি জমি আমি নিয়েছি বা কাউকে পাইয়ে দিয়েছি, ইমিডিয়েটলি তদন্ত করে বুলডোজার দিয়ে উড়িয়ে দিন। আমার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।" সামান্য ক্ষোভ এবং বিরক্তি মেশানো কন্ঠে তাঁর সংযোজন, "এই ধরনের নিকৃষ্টতম রাজনীতি হবে জানলে আমি নিজে রাজনীতিতেই আসতাম না। কিন্তু এখন যখন এসে গিয়েছি, মা-মাটি-মানুষের কাজ করতে হবে। আপনারা কি মনে করেন আমি স্বার্থের জন্য রাজনীতি করি? আমি যে চেয়ারটায় বসে থাকি স্বার্থের জন্য? যে দিন মানুষ চাইবে না, আমি থাকব না। আই ডোন্ট কেয়ার।"