প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee, CM)। তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে বসে ঘোষণা করলেন এবার রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ব্লকে ইংরেজি মাধ্যম (English Medium) স্কুল তৈরি করবে রাজ্য সরকার। নবান্নের (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে (Press Conference) তিনি জানিয়ে দিয়েছেন এই সমস্ত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সমস্ত ধর্ম, বর্ণ এবং সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা পড়াশোনা করতে পারবেন। তার সাথে সাথেই বাম আমলে কিভাবে শিক্ষার গাফিলতি হয়েছিল সেই নিয়ে আলোকপাত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানালেন, সেই ভুল তাঁরা আর করতে রাজি নয়। এছাড়াও করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন বিধিনিষেধ নিয়েও এদিন কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা আপাতত তাঁর সবথেকে বড় লক্ষ্য। এই পরিস্থিতিতে তিনি প্রত্যেকটি পুজো কমিটিকে অনুরোধ করেছেন যেন তাঁরা করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্যের পাশে দাঁড়ান। ইতিমধ্যেই সংকট কাটানোর জন্য বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়(Alapan Banerjee) জানিয়ে দিয়েছেন, এবারে পুজা এবং অনুষ্ঠানে ব্যবহার হওয়া কমিউনিটি হল সেফহোম এবং অক্সিজেন বুথ হিসেবে কাজে লাগবে। এছাড়াও আগামী ২ মাসের মধ্যে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে পিএসএ প্লান্ট বসিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। তার পাশাপাশি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর জন্য বেসরকারি সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা বলছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তির ভিত্তিতে চিকিৎসাকর্মী, নার্স এবং টেকনিশিয়ান নিয়োগ করা হবে। প্রতিটি ব্লকে অন্তত একটি করে অ্যাম্বুলেন্স এবং শববাহী যান রাখা হবে।
পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন সম্পুর্ণ লকডাউনের তাঁরা পক্ষপাতী নন। এবার যদি বাইরে থেকে কেউ রাজ্যে আসেন তাহলে তাঁকে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়াও রাজ্যের মানুষের কথা মাথায় রেখে করোনা ভাইরাসের সময়ে বাজার খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন ঈদের জন্য ২ ঘন্টা বাজার খোলা থাকবে। এছাড়াও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জন্য দুপুর ১২ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সবাইকে সচেতন করে দিয়ে বলেছেন, ঈদের আনন্দ করতে গিয়ে যেন আপনারা লাগামছাড়া হয়ে না পড়েন। আগামী এক সপ্তাহ করোনা ভাইরাসের প্রভাব সবথেকে বেশি হবে। তাই আপনাদের লকডাউনের মতই আচরণ করতে হবে। লকডাউন করে দিলে সাধারন মানুষ খেতে পাবে না তাই আমরা লকডাউন করতে পারছিনা।